মঈন উদ্দিন, রাজশাহী
আমের রাজ্য হিসেবে সুপরিচিত রাজশাহী। এবার মৌসুমের প্রথম দিকে তাপপ্রবাহের কারণে গাছ থেকে ঝরে পড়েছে মুকুল ও গুটি আম। অন্যদিকে অনুকূল আবহাওয়ায় এ বছর রাজশাহীতে লিচুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। মে মাসের শেষ দশকে হাটবাজারে এবার রঙিন ও রসালো লিচুর আধিপত্য দেখা যাবে।
তবে ফলন আশানুরূপ হলেও দ্রুত পচনশীল এই লিচু সঠিক সময়ে বাজারজাত করে ন্যায্যমূল্য পাওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের শেষদিকে লিচু গাছে মুকুল আসে এবং মে মাসের শেষ দশক থেকে জুন মাস পর্যন্ত পরিপক্ব লিচু বাজারজাত করার উপযোগী হয়ে যায়। লিচু চাষিরা সারা বছর তাদের লিচু গাছের যত্ন নেন বছরের এই স্বল্প সময়ে ফল বিক্রির জন্য। গুটির পর মাত্র দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে লিচু বাজারজাত করার উপযোগী হয়ে থাকে। এ সময়ের মধ্যে লাভজনক মূল্যে বাজারজাত করতে না পারলে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা।
রাজশাহীর অধিকাংশ চাষি ও কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লিচুর উৎপাদন হবে ভালো। এ বছর ৫৩০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাগমারায় ১১৫ হেক্টর জমিতে লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৮২৫ মেট্রিক টন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, লিচুর চাষ হয়েছে ৫৩০ হেক্টর জমিতে। আর ২০১৬-১৭ মৌসুমে জেলায় মোট লিচুর চাষ হয়েছে ৪৮৯ হেক্টরে। এতে উৎপাদন হয়েছিল ২ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন। ২০১৭-১৮ সালে এক একর বেড়ে মোট চাষের জমি দাঁড়ায় ৪৯০ হেক্টরে।
২০১৮-১৯ মৌসুমে চাষের জমি বাড়ে আট হেক্টর। মোট ৪৯৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয় ২ হাজার ৮৭৬ মেট্রিক টন। সে বছর হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ছিল ৫ দশমিক ৭৮ মেট্রিক টন। ২০১৯-২০ মৌসুমে লিচুর আবাদ আরো দুই হেক্টর বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৫০০ হেক্টরে দাঁড়ায়।
অপরদিকে ২০২০-২১ মৌসুমে ১৯ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ বৃদ্ধি পেয়ে মোট চাষের জমি দাঁড়ায় ৫১৯ হেক্টরে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন লিচুবাগান ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা গুটির পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গাছের গোড়ায় ড্রেন করা, পানি দেওয়া, স্প্রে করাসহ লিচু গাছের পরিচর্যা হচ্ছে। কীটনাশকসহ বিভিন্ন ভিটামিন স্প্রে করছেন তারা। এছাড়াও লিচু মোটা করতে মাটিতে জৈবসার, হরমোনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক সার প্রয়োগ করবেন তারা।
বাগান মালিকরা জানান, তারা জানুয়ারি মাসের শেষে লিচু গাছে ভালো ফুল দেখতে পেয়েছিলেন এবং আবহাওয়াও ছিল অনুকূলে। এখন লিচুর গুটি বেশ বড় হয়েছে। কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে মে মাসের শেষদিকে কৃষক গাছ থেকে লিচু পাড়া শুরু ও বাজারজাত করবেন।
পবা উপজেলার নগর পারিলা এলাকার লিচু চাষি এরশাদ আলী জানান, তার বাগানে বোম্বে জাতের ৫০টি লিচু গাছ আছে। গত বছর দেড় লাখ টাকার লিচু বিক্রি করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার দুই লাখ টাকা বিক্রির আশা করছেন।
জেলার পবা উপজেলার বড়গাছি গ্রামের লিচু চাষি সুলতান বলেন, আবহাওয়া যদি শেষ পর্যন্ত ভালো থাকে, তবে এবার লিচুর ফলনও ভালো হবে। গাছ থেকে লিচু যেন পড়ে না যায়, সে জন্য পর্যাপ্ত পানি দেওয়া হচ্ছে। কাঠবিড়ালি আর বাদুড় যাতে নষ্ট করতে না পারে, সে জন্য জালের ব্যবস্থা করা হবে। লিচুর পরাগায়ণ বৃদ্ধি করতে বাগানে একজন মৌচাষিকে মৌ-বাক্সও বসাতে দিয়েছি।
মৌসুমে লিচুর ভালো ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ বছর লিচুর মুকুল আসার সময় হালকা বৃষ্টি হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ মুকুল বের হয়েছে। এসব মুকুল থেকে গুটি ফুটে বড় আকার ধারণ করতে শুরু করেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে শুধু লিচু চাষ করে জেলার কয়েকশ চাষি স্বনির্ভর হয়েছেন। ফলে প্রতি বছর লিচুর চাষ বাড়ছে। বাগান ছাড়াও বসতবাড়িতে দেশি লিচুর পাশাপাশি উচ্চফলনশীল চায়না-৩ এবং বোম্বে ও মাদ্রাজি জাতের লিচুর চাষ হচ্ছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, রাজশাহীর লিচু স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় হওয়ায় এ জেলার প্রায় সব উপজেলাতেই রয়েছে লিচুর বাগান। কোনো মৌসুমে ফলন একটু কম, আবার কোনো মৌসুমে বেশি হয়। তবে প্রতিবছর লিচুর আবাদ বাড়ছে। এ বছর ৫৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন।
আমের রাজ্য হিসেবে সুপরিচিত রাজশাহী। এবার মৌসুমের প্রথম দিকে তাপপ্রবাহের কারণে গাছ থেকে ঝরে পড়েছে মুকুল ও গুটি আম। অন্যদিকে অনুকূল আবহাওয়ায় এ বছর রাজশাহীতে লিচুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। মে মাসের শেষ দশকে হাটবাজারে এবার রঙিন ও রসালো লিচুর আধিপত্য দেখা যাবে।
তবে ফলন আশানুরূপ হলেও দ্রুত পচনশীল এই লিচু সঠিক সময়ে বাজারজাত করে ন্যায্যমূল্য পাওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের শেষদিকে লিচু গাছে মুকুল আসে এবং মে মাসের শেষ দশক থেকে জুন মাস পর্যন্ত পরিপক্ব লিচু বাজারজাত করার উপযোগী হয়ে যায়। লিচু চাষিরা সারা বছর তাদের লিচু গাছের যত্ন নেন বছরের এই স্বল্প সময়ে ফল বিক্রির জন্য। গুটির পর মাত্র দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে লিচু বাজারজাত করার উপযোগী হয়ে থাকে। এ সময়ের মধ্যে লাভজনক মূল্যে বাজারজাত করতে না পারলে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা।
রাজশাহীর অধিকাংশ চাষি ও কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লিচুর উৎপাদন হবে ভালো। এ বছর ৫৩০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাগমারায় ১১৫ হেক্টর জমিতে লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৮২৫ মেট্রিক টন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, লিচুর চাষ হয়েছে ৫৩০ হেক্টর জমিতে। আর ২০১৬-১৭ মৌসুমে জেলায় মোট লিচুর চাষ হয়েছে ৪৮৯ হেক্টরে। এতে উৎপাদন হয়েছিল ২ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন। ২০১৭-১৮ সালে এক একর বেড়ে মোট চাষের জমি দাঁড়ায় ৪৯০ হেক্টরে।
২০১৮-১৯ মৌসুমে চাষের জমি বাড়ে আট হেক্টর। মোট ৪৯৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয় ২ হাজার ৮৭৬ মেট্রিক টন। সে বছর হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ছিল ৫ দশমিক ৭৮ মেট্রিক টন। ২০১৯-২০ মৌসুমে লিচুর আবাদ আরো দুই হেক্টর বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৫০০ হেক্টরে দাঁড়ায়।
অপরদিকে ২০২০-২১ মৌসুমে ১৯ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ বৃদ্ধি পেয়ে মোট চাষের জমি দাঁড়ায় ৫১৯ হেক্টরে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন লিচুবাগান ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা গুটির পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গাছের গোড়ায় ড্রেন করা, পানি দেওয়া, স্প্রে করাসহ লিচু গাছের পরিচর্যা হচ্ছে। কীটনাশকসহ বিভিন্ন ভিটামিন স্প্রে করছেন তারা। এছাড়াও লিচু মোটা করতে মাটিতে জৈবসার, হরমোনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক সার প্রয়োগ করবেন তারা।
বাগান মালিকরা জানান, তারা জানুয়ারি মাসের শেষে লিচু গাছে ভালো ফুল দেখতে পেয়েছিলেন এবং আবহাওয়াও ছিল অনুকূলে। এখন লিচুর গুটি বেশ বড় হয়েছে। কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে মে মাসের শেষদিকে কৃষক গাছ থেকে লিচু পাড়া শুরু ও বাজারজাত করবেন।
পবা উপজেলার নগর পারিলা এলাকার লিচু চাষি এরশাদ আলী জানান, তার বাগানে বোম্বে জাতের ৫০টি লিচু গাছ আছে। গত বছর দেড় লাখ টাকার লিচু বিক্রি করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার দুই লাখ টাকা বিক্রির আশা করছেন।
জেলার পবা উপজেলার বড়গাছি গ্রামের লিচু চাষি সুলতান বলেন, আবহাওয়া যদি শেষ পর্যন্ত ভালো থাকে, তবে এবার লিচুর ফলনও ভালো হবে। গাছ থেকে লিচু যেন পড়ে না যায়, সে জন্য পর্যাপ্ত পানি দেওয়া হচ্ছে। কাঠবিড়ালি আর বাদুড় যাতে নষ্ট করতে না পারে, সে জন্য জালের ব্যবস্থা করা হবে। লিচুর পরাগায়ণ বৃদ্ধি করতে বাগানে একজন মৌচাষিকে মৌ-বাক্সও বসাতে দিয়েছি।
মৌসুমে লিচুর ভালো ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ বছর লিচুর মুকুল আসার সময় হালকা বৃষ্টি হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ মুকুল বের হয়েছে। এসব মুকুল থেকে গুটি ফুটে বড় আকার ধারণ করতে শুরু করেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে শুধু লিচু চাষ করে জেলার কয়েকশ চাষি স্বনির্ভর হয়েছেন। ফলে প্রতি বছর লিচুর চাষ বাড়ছে। বাগান ছাড়াও বসতবাড়িতে দেশি লিচুর পাশাপাশি উচ্চফলনশীল চায়না-৩ এবং বোম্বে ও মাদ্রাজি জাতের লিচুর চাষ হচ্ছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, রাজশাহীর লিচু স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় হওয়ায় এ জেলার প্রায় সব উপজেলাতেই রয়েছে লিচুর বাগান। কোনো মৌসুমে ফলন একটু কম, আবার কোনো মৌসুমে বেশি হয়। তবে প্রতিবছর লিচুর আবাদ বাড়ছে। এ বছর ৫৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন।
এ সময় অসাবধানতাবশত তার শরীরে সার্ভিস তার স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৮ মিনিট আগেবুধবার ভোর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ওই এলাকার বারকোনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
২১ মিনিট আগেমঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
২৭ মিনিট আগেবিএনপি নেতা সামছুল ইসলাম জেলার সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক। ছাড়া পাওয়া দুই আসামি হলেন, সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রানা (৪০) ও একই কমিটির সদস্য মামুন আহমেদ (৩৮)।
৩৮ মিনিট আগে