কালকিনিতে সেতু যেন মারণফাঁদ

সাগর হোসেন তামীম, মাদারীপুর
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪: ৫৬

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ এনায়েতনগর ইউনিয়নের কাঁঠালতলা নামক স্থানে খালের ওপর নির্মিত পাকা সেতু ভেঙে গিয়ে মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ সেতুটির ওপর দিয়ে উপজেলার ফাঁসিয়াতা, এনায়েতনগর, লক্ষ্মীপুর, পূর্ব এনায়েতনগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার কয়েক হাজার মানুষ সদরে যোগাযোগ করে থাকেন। এখানে কোনো বিকল্প সড়ক না থাকায় প্রতিদিন এ ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে চলছে অসংখ্য পথচারী ও যানবাহন। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রায় ১৫ বছর আগের নির্মিত এ ব্রিজটি সংস্কার না করায় দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

প্রায় দুই-তিন মাস আগে ভেঙে গেছে ব্রিজের মাঝখানের দুটি অংশ। কংক্রিটের পলেস্তারা খসে বেরিয়ে গেছে লোহার রড। ফলে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় দুটি গর্ত। গর্তের দুপাশে যেটুকু জায়গা আছে, তা দিয়ে হেঁটে চলাচল করা গেলেও যানবাহন পারাপার হচ্ছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। এ কারণে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। জনগুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটি জরুরিভাবে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ। এদিকে ওই ব্রিজটি নতুনভাবে করার আগ পর্যন্ত যাতে সাধারণ জনগণ চলাচল করতে পারে, সেজন্য দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল করীম।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখে ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার এনায়েনতনগর গ্রামের খালের ওপর নির্মিত পুরোনো ব্রিজটির ওপরের অংশের সিমেন্টের ঢালাই ধসে গেছে। ফলে ব্রিজের ওপরে দুটি বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে ব্রিজের রড বের হয়ে গেছে। ওই গর্তের পাশ দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যান চলাচল করছে। যান চলাচলের সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন চালক ও যাত্রীরা।

এ ছাড়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ওই গর্তের পাস দিয়েই হেঁটে প্রতিনিয়ত ব্রিজ পার হচ্ছে। কয়েক মাস ধরে সেতুর ওপর ওই বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ধীরে ধীরে ওই গর্ত বড় হয়ে যেকোনো মুহূর্তে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হতে পারে এবং ব্রিজটি যেকোনো মুহূর্তে খালের মধ্যে ধসে পড়ে যেতে পারে। এদিকে ওই ব্রিজটি নতুনভাবে করার আগ পর্যন্ত যাতে করে সাধারণ জনগণ চলাচল করতে পারে, সেজন্য দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল করীম।

শিক্ষার্থী আরমান হোসাইন, ব্যবসায়ী হাশেম সরদার, পথচারী মোশারফসহ বেশ কয়েকজন বলেন, আমরা বড় বিপদের মধ্যে আছি ব্রিজ পারাপার নিয়ে। যেকোনো সময় ব্রিজের গর্তের ফাঁক দিয়ে পড়ে গিয়ে প্রাণহানি ঘটতে পারে। তাই আমাদের জীবন বাঁচাতে হলে ব্রিজটির দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। এটা আমাদের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, ওই ব্রিজটি নতুনভাবে করার আগ পর্যন্ত যাতে সাধারণ জনগণ চলাচল করতে পারে, সেজন্য দ্রুত সংস্কার করা হবে।

বিষয়:

কালকিনি
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত