হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে হত্যার শিকার হয়েছেন গৃহবধূ আমেনা বেগম। ২৮ মে রাত ১০টায় ৩নং ওয়ার্ডের শতফুল গ্রামের আশ্রয়কেন্দ্র সংলগ্ন এমরান উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই দিন চুরির উদ্দেশ্যে তার ঘরে তিনজন চোর প্রবেশ করে। এ সময় বাতির আলোতে দুই চোরকে চিনতে পারেন গৃহবধূ। এ কারণে গলা কেটে হত্যা করা হয় তাকে। পরে তার লাশ ফেলে দেয়া হয় পুকুরে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর হত্যায় জড়িত ফজলে রাব্বীকে আটক করলে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
এ ঘটনায় আটক দুজন হলো ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরমাইনকা ইউনিয়নের আব্দুল মান্নান মাঝির ছেলে ফজলে রাব্বী ও হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের ১নং ওয়ার্ডের মো. মাধুর ছেলে আলাউদ্দিন। এদের মধ্যে রাব্বীকে শনিবার রাতে নিঝুম দ্বীপ থেকে আটক করে স্থানীয়রা। রাব্বীর দেয়া তথ্যমতে ভোলার দৌলতখাঁ থেকে আটক করা হয় আলাউদ্দিনকে।
রাব্বীকে রোববার বিকালে হাতিয়া থানায় আনার পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ সময় চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য দেয় রাব্বী। অন্যদিকে ভোলার দৌলতখাঁয় আটক আলাউদ্দিনকে নিয়ে পুলিশের একটি টিম হাতিয়ায় রওনা দিয়েছেন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আজমল হুদা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রাব্বী বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে। হত্যায় তারা তিনজন জড়িত ছিল। মূলত চুরির উদ্দেশ্যে তারা গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে। প্রতিবেশী হওয়ায় ওই নারী আলাউদ্দিনসহ দুজনকে চিনে পেলে। এ কারণে তারা গলা কেটে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে তারা ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা লুট করে। পরে দুইজন মহিলার হাত-পা চেপে ধরে, একজন গলা কেটে ফেলে। মহিলার শীরের আঙুলের ছাপ পাওয়া যাবে বলে পরে তারা লাশ পুকুরে ফেলে দেয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরো জানান, ভোলায় আটক আলাউদ্দিনকে নিয়ে আসা হলে দুজনকে সামনাসামনি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আজ তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
আটক রাব্বীর বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন হলেও সরকার পরিবর্তনের পর থেকে নিঝুম দ্বীপে অবস্থান করছিল। আর আলাউদ্দিন সম্পর্কে রাব্বীর বোনজামাই। রাব্বী ও আলাউদ্দিন বিভিন্ন ক্রাইমের সাথে জড়িত।

