রাজীব হাসান, ধামরাই (ঢাকা)
রাজধানীর অদূরে ধামরাই উপজেলা। ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলা। এক সময় সংসদীয় এ আসনটি ছিল রাজনৈতিকভাবে বিএনপির ঘাঁটি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে- এমনটা টার্গেট করে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্বাচনমুখী বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও খেলাফত মজলিসসহ দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
এ আসনে স্বাধীনতার পর মুসলিম লীগ থেকে একবার, জাতীয় পার্টি দুবার, বিএনপি চারবার ও আওয়ামী লীগ থেকে তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিল। শিল্পাঞ্চল হাওয়ায় ঢাকার কাছে এ আসনটি খুবই গুরুত্ব বহন করে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে।
পলাতক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময় রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা ছিল বিএনপি। নেতাকর্মীদের নামে মামলা-হামলা ও গ্রেপ্তার নির্যাতনে সাংগঠনিকভাবে একেবারে দুর্বল হয়ে পড়েছিল দলটি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর এখানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এখন প্রকাশ্যে অবাধে নিজেদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ধামরাই আসনে নির্বাচনি সভা-সমাবেশসহ গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। গত ঈদুল আজহার আগে থেকে তারা পথেঘাটে, হাটে-বাজারে মানুষের কাছে যাচ্ছেন দল ও নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরছেন। এ সময় ভোটারদের আকৃষ্ট করতে দুর্নীতিমুক্ত মানবিক দেশ গঠন ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। এ ছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে নেতাকর্মীদের সংগঠিত রাখাসহ বুথভিত্তিক ইউনিট কমিটি গঠন করে সাধারণ মানুষের কাছে দলের দাওয়াত পৌঁছাচ্ছেন জামায়াত নেতারা।
এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চারজন, জামায়াতের একক প্রার্থী ও খেলাফত মজলিসের একজন প্রার্থী গণসংযোগ করছেন।
বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ার আশায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন, ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ, সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান অভি।
এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে কাজী মাওলানা আব্দুর রউফ এবং খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মুফতি আশরাফ আলী আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নানা প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এ আসনে একাধিকবার এমপি ছিলেন বিএনপির ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দীন বলেন, আমি ‘তিনবারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। ধামরাইয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শক্তিশালী। অন্য দল এলেও ভোটে কোনো প্রভাব পড়েবে না। ধামরাইয়ের জনগণ আমার সঙ্গে আছে’।
ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। দলের জন্য নিবেদিতভাবে রাজনীতি করেছি। আমি দলের আদর্শ ও নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মনোনয়নের ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেব।
অষ্টম সংসদে মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি ও মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ বলেন, সারা দেশের মানুষই নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় আছে। আমাকে বিএনপি এ আসনে মনোনয়ন দিলে নির্বাচিত হয়ে ধামরাইকে দেশের মডেল উপজেলা করার জন্য যা যা করা দরকার তাই করব।
ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা, গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়ার দেশের ২৭ দফা এবং তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে আমরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।
জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত কাজী মাওলানা আব্দুর রউফ বলেন, নির্বাচনি বুথভিত্তিক ইউনিট গঠন করে সাধারণ মানুষের কাছে দাওয়াত পৌঁছানো হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন আমার দলের নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে গণসংযোগ করছি। জালিমদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য জনগণের সহযোগিতা চাচ্ছি।
খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঢাকা জেলার সভাপতি মুফতি আশরাফ আলী বলেন, অতীতের সব দলকেই বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখেছে, কে কী করতে পেরেছে তা জনগণ জানে। ধামরাইয়ের জনগণের আমানত ভোট, সেটার মর্যাদা রক্ষার জন্য কাজ করতে চাই।
তবে এ আসনে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ, জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা ও খেলাফত মজলিসের দেয়াল ঘড়ি প্রতীকের পক্ষে স্লোগান শোনা গেলেও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদের কোনো প্রার্থীর তৎপরতা এখনো দেখা যায়নি।
রাজধানীর অদূরে ধামরাই উপজেলা। ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলা। এক সময় সংসদীয় এ আসনটি ছিল রাজনৈতিকভাবে বিএনপির ঘাঁটি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে- এমনটা টার্গেট করে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্বাচনমুখী বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও খেলাফত মজলিসসহ দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
এ আসনে স্বাধীনতার পর মুসলিম লীগ থেকে একবার, জাতীয় পার্টি দুবার, বিএনপি চারবার ও আওয়ামী লীগ থেকে তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিল। শিল্পাঞ্চল হাওয়ায় ঢাকার কাছে এ আসনটি খুবই গুরুত্ব বহন করে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে।
পলাতক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময় রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা ছিল বিএনপি। নেতাকর্মীদের নামে মামলা-হামলা ও গ্রেপ্তার নির্যাতনে সাংগঠনিকভাবে একেবারে দুর্বল হয়ে পড়েছিল দলটি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর এখানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এখন প্রকাশ্যে অবাধে নিজেদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ধামরাই আসনে নির্বাচনি সভা-সমাবেশসহ গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। গত ঈদুল আজহার আগে থেকে তারা পথেঘাটে, হাটে-বাজারে মানুষের কাছে যাচ্ছেন দল ও নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরছেন। এ সময় ভোটারদের আকৃষ্ট করতে দুর্নীতিমুক্ত মানবিক দেশ গঠন ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। এ ছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে নেতাকর্মীদের সংগঠিত রাখাসহ বুথভিত্তিক ইউনিট কমিটি গঠন করে সাধারণ মানুষের কাছে দলের দাওয়াত পৌঁছাচ্ছেন জামায়াত নেতারা।
এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চারজন, জামায়াতের একক প্রার্থী ও খেলাফত মজলিসের একজন প্রার্থী গণসংযোগ করছেন।
বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ার আশায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন, ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ, সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান অভি।
এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে কাজী মাওলানা আব্দুর রউফ এবং খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মুফতি আশরাফ আলী আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নানা প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এ আসনে একাধিকবার এমপি ছিলেন বিএনপির ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দীন বলেন, আমি ‘তিনবারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। ধামরাইয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শক্তিশালী। অন্য দল এলেও ভোটে কোনো প্রভাব পড়েবে না। ধামরাইয়ের জনগণ আমার সঙ্গে আছে’।
ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। দলের জন্য নিবেদিতভাবে রাজনীতি করেছি। আমি দলের আদর্শ ও নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মনোনয়নের ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেব।
অষ্টম সংসদে মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি ও মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ বলেন, সারা দেশের মানুষই নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় আছে। আমাকে বিএনপি এ আসনে মনোনয়ন দিলে নির্বাচিত হয়ে ধামরাইকে দেশের মডেল উপজেলা করার জন্য যা যা করা দরকার তাই করব।
ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা, গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়ার দেশের ২৭ দফা এবং তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে আমরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।
জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত কাজী মাওলানা আব্দুর রউফ বলেন, নির্বাচনি বুথভিত্তিক ইউনিট গঠন করে সাধারণ মানুষের কাছে দাওয়াত পৌঁছানো হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন আমার দলের নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে গণসংযোগ করছি। জালিমদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য জনগণের সহযোগিতা চাচ্ছি।
খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঢাকা জেলার সভাপতি মুফতি আশরাফ আলী বলেন, অতীতের সব দলকেই বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখেছে, কে কী করতে পেরেছে তা জনগণ জানে। ধামরাইয়ের জনগণের আমানত ভোট, সেটার মর্যাদা রক্ষার জন্য কাজ করতে চাই।
তবে এ আসনে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ, জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা ও খেলাফত মজলিসের দেয়াল ঘড়ি প্রতীকের পক্ষে স্লোগান শোনা গেলেও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদের কোনো প্রার্থীর তৎপরতা এখনো দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
৩১ মিনিট আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
২ ঘণ্টা আগে