মেজবাহুল হিমেল, রংপুর
রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সড়কে এবং সিটি করপোরেশন ভবনের প্রবেশ ফটকের কাছে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন দুটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজ দুটির ফাউন্ডেশন কংক্রিট ও পাটাতনসহ অন্যান্য অংশ স্টিলের। মূলত যানজট নিরসন ও পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে নিজস্ব অর্থায়নে ফুটওভার ব্রিজ দুটি নির্মাণ করে সিটি করপোরেশন। কিন্তু ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করছেন না নগরবাসী।
ব্রিজের নিচের অংশ কিছু ব্যবসায়ীর অবৈধ দখলের কারণে আগের চেয়ে সড়কে বেড়েছে যানজট। রাস্তা পারাপারে বেড়েছে ভোগান্তি। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা । ফুটওভার ব্রিজ দুটি নির্মাণে যথাযথ স্থান নির্ধারণ করতে না পারা এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) সঠিক পরিকল্পনার অভাব বলে মনে করছেন নগরবাসী।
রসিকের প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, ফুটওভার ব্রিজের জন্য কাঙ্ক্ষিত জমি না পাওয়ায় বিকল্প হিসেবে সিটি করপোরেশন ভবনের পাশেই একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এটি পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোড়ে নির্মাণের প্রস্তাব ছিল। এজন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে পাঁচ ফুট জমি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাধ্য হয়ে সিটি করপোরেশন ভবনের পাশে নির্মাণ করা হয়।
২০২২ সালে ব্রিজটি পথচারীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু ফুটওভার ব্রিজ পারাপারে সাধারণ পথচারীদের তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। রাস্তা পারাপারে দুর্ঘটনা এড়াতে ব্রিজ দুটি নির্মাণ করা হলেও সড়ক ডিভাইডার রাখা হয়েছে উন্মুক্ত। কোনো ফেন্সিং না থাকায় পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে ইচ্ছামতো রাস্তা পারাপার হচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর ব্যস্ততম সিটি বাজারসংলগ্ন সড়কে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন যানবাহনের চালক এবং পথচারীদের আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে উদাসীনতার কারণে এই সড়কে থাকা ফুটওভার ব্রিজটি শুধু সৌন্দর্য হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। বর্তমানে এখন সেটি বিজ্ঞাপনের স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিটি বাজার ও সিটি করোরেশনসহ রাস্তার দুপাশ থেকে মানুষজন বেপরোয়াভাবে পার হচ্ছেন। কোনো বাধ্যবাধকতা বা প্রতিবন্ধকতা না থাকায় কারো মধ্যে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
তবে পথচারী বা সাধারণ মানুষ এই ব্রিজের সুবিধা না নিলেও কিছু ব্যবসায়ী ফুটওভার ব্রিজের নিচে গড়ে তুলেছেন ফলসহ বিভিন্ন দোকান। এর ফলে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন ফুটওভার ব্রিজের দুপাশে যানজট, মানুষের জটলা আর রাস্তা পারাপারে বেড়েছে ভোগান্তি।
সিটি বাজার থেকে বাজার করে বের হয়ে হাসান আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, এই ব্রিজ দিয়ে তো কেউ পারাপার হয় না। সবকিছুর একটা সিস্টেম আছে, এখানে সেটা মানা হয়নি। ব্রিজটি যথাস্থানে স্থাপন করা হয়নি। এ কারণে এটি কাজেও আসছে না।
মাঝেমধ্যে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবে তা পারাপারের জন্য নয়, তারা ব্রিজে উঠে সেলফি তোলে। বর্তমানে এটি সেখানকার নিত্যদিনের চিত্র।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বেশিরভাগ সময় রাস্তার ওপর দিয়েই পার হয়ে থাকি। এটা যদি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল মোড়ে মতো হতো অর্থাৎ ডিভাইডারে ফেন্সিং থাকত, তাহলে সবাই ব্রিজের ওপর দিয়েই পারাপার হতো। আমরা চাই নগরীতে এমন আরো ফুটওভার ব্রিজ হোক। তবে সেটা যেন পরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়।
জালাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বলেন, ফুটওভার ব্রিজ আছে কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব থাকায় সেটি কোনো কাজে আসছে না। তাছাড়া ওই সড়কের পুরো ডিভাইডার অরক্ষিত এবং রেলিং নেই, যে কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মানুষজন রাস্তা পারাপার হচ্ছে।
তিনি বলেন, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। মানুষের সচেতনতা বাড়ানো হলে ব্রিজ নির্মাণের সুফল মিলবে। এখন তো ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পারাপার না হয়ে রাস্তার নিচ দিয়ে পারাপার করলে কেউ জরিমানা করছে না। আমাদের ট্রাফিক পুলিশ এ নিয়ে নীরব। যদি পুলিশ এবং সিটি করপোরেশন বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় এবং সুচিন্তিত পরিকল্পনা থেকে কাজ করে, তাহলে চার কোটি টাকা ব্যয়ের সার্থকতা থাকবে।
কারমাইকেল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক আব্দুর রউফ সরকার বলেন, নাগরিক সুবিধার মধ্যে চলাচলের প্রশস্ত রাস্তা, ফুটপাথ ও ফুটওভার ব্রিজ থাকলেই হবে না। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণ, ট্রাফিক সিস্টেম এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে, তা কিন্তু চোখে পড়ছে না। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত।
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা আমার দেশকে বলেন, মানুষ যাতে নিরাপদে এপার থেকে ওপারে পারপার হতে পারে, এজন্য সিটি বাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।
রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সড়কে এবং সিটি করপোরেশন ভবনের প্রবেশ ফটকের কাছে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন দুটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজ দুটির ফাউন্ডেশন কংক্রিট ও পাটাতনসহ অন্যান্য অংশ স্টিলের। মূলত যানজট নিরসন ও পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে নিজস্ব অর্থায়নে ফুটওভার ব্রিজ দুটি নির্মাণ করে সিটি করপোরেশন। কিন্তু ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করছেন না নগরবাসী।
ব্রিজের নিচের অংশ কিছু ব্যবসায়ীর অবৈধ দখলের কারণে আগের চেয়ে সড়কে বেড়েছে যানজট। রাস্তা পারাপারে বেড়েছে ভোগান্তি। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা । ফুটওভার ব্রিজ দুটি নির্মাণে যথাযথ স্থান নির্ধারণ করতে না পারা এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) সঠিক পরিকল্পনার অভাব বলে মনে করছেন নগরবাসী।
রসিকের প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, ফুটওভার ব্রিজের জন্য কাঙ্ক্ষিত জমি না পাওয়ায় বিকল্প হিসেবে সিটি করপোরেশন ভবনের পাশেই একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এটি পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোড়ে নির্মাণের প্রস্তাব ছিল। এজন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে পাঁচ ফুট জমি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাধ্য হয়ে সিটি করপোরেশন ভবনের পাশে নির্মাণ করা হয়।
২০২২ সালে ব্রিজটি পথচারীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু ফুটওভার ব্রিজ পারাপারে সাধারণ পথচারীদের তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। রাস্তা পারাপারে দুর্ঘটনা এড়াতে ব্রিজ দুটি নির্মাণ করা হলেও সড়ক ডিভাইডার রাখা হয়েছে উন্মুক্ত। কোনো ফেন্সিং না থাকায় পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে ইচ্ছামতো রাস্তা পারাপার হচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর ব্যস্ততম সিটি বাজারসংলগ্ন সড়কে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন যানবাহনের চালক এবং পথচারীদের আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে উদাসীনতার কারণে এই সড়কে থাকা ফুটওভার ব্রিজটি শুধু সৌন্দর্য হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। বর্তমানে এখন সেটি বিজ্ঞাপনের স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিটি বাজার ও সিটি করোরেশনসহ রাস্তার দুপাশ থেকে মানুষজন বেপরোয়াভাবে পার হচ্ছেন। কোনো বাধ্যবাধকতা বা প্রতিবন্ধকতা না থাকায় কারো মধ্যে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
তবে পথচারী বা সাধারণ মানুষ এই ব্রিজের সুবিধা না নিলেও কিছু ব্যবসায়ী ফুটওভার ব্রিজের নিচে গড়ে তুলেছেন ফলসহ বিভিন্ন দোকান। এর ফলে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন ফুটওভার ব্রিজের দুপাশে যানজট, মানুষের জটলা আর রাস্তা পারাপারে বেড়েছে ভোগান্তি।
সিটি বাজার থেকে বাজার করে বের হয়ে হাসান আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, এই ব্রিজ দিয়ে তো কেউ পারাপার হয় না। সবকিছুর একটা সিস্টেম আছে, এখানে সেটা মানা হয়নি। ব্রিজটি যথাস্থানে স্থাপন করা হয়নি। এ কারণে এটি কাজেও আসছে না।
মাঝেমধ্যে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবে তা পারাপারের জন্য নয়, তারা ব্রিজে উঠে সেলফি তোলে। বর্তমানে এটি সেখানকার নিত্যদিনের চিত্র।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বেশিরভাগ সময় রাস্তার ওপর দিয়েই পার হয়ে থাকি। এটা যদি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল মোড়ে মতো হতো অর্থাৎ ডিভাইডারে ফেন্সিং থাকত, তাহলে সবাই ব্রিজের ওপর দিয়েই পারাপার হতো। আমরা চাই নগরীতে এমন আরো ফুটওভার ব্রিজ হোক। তবে সেটা যেন পরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়।
জালাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বলেন, ফুটওভার ব্রিজ আছে কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব থাকায় সেটি কোনো কাজে আসছে না। তাছাড়া ওই সড়কের পুরো ডিভাইডার অরক্ষিত এবং রেলিং নেই, যে কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মানুষজন রাস্তা পারাপার হচ্ছে।
তিনি বলেন, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। মানুষের সচেতনতা বাড়ানো হলে ব্রিজ নির্মাণের সুফল মিলবে। এখন তো ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পারাপার না হয়ে রাস্তার নিচ দিয়ে পারাপার করলে কেউ জরিমানা করছে না। আমাদের ট্রাফিক পুলিশ এ নিয়ে নীরব। যদি পুলিশ এবং সিটি করপোরেশন বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় এবং সুচিন্তিত পরিকল্পনা থেকে কাজ করে, তাহলে চার কোটি টাকা ব্যয়ের সার্থকতা থাকবে।
কারমাইকেল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক আব্দুর রউফ সরকার বলেন, নাগরিক সুবিধার মধ্যে চলাচলের প্রশস্ত রাস্তা, ফুটপাথ ও ফুটওভার ব্রিজ থাকলেই হবে না। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণ, ট্রাফিক সিস্টেম এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে, তা কিন্তু চোখে পড়ছে না। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত।
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা আমার দেশকে বলেন, মানুষ যাতে নিরাপদে এপার থেকে ওপারে পারপার হতে পারে, এজন্য সিটি বাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।
কক্সবাজারে গভীর সমুদ্রে পাচারের মুহূর্তে ২৯ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন। এ সময় তিন মানবপাচারকারিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার মেরিন ড্রাইভের রাজারছড়া এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১১ মিনিট আগেএ সময় অসাবধানতাবশত তার শরীরে সার্ভিস তার স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
২১ মিনিট আগেবুধবার ভোর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ওই এলাকার বারকোনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
৩৩ মিনিট আগেমঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
৪০ মিনিট আগে