এম হাসান, কুমিল্লা
ঈদের লম্বা ছুটিতে জমে ওঠে কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলো। জেলার ডজনখানেক বিনোদন কেন্দ্র এখনো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর। তীব্র গরম উপেক্ষা করে আনন্দে মাতোয়ারা নানা বয়সি মানুষ। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে তরুণ-তরুণী, শিশু ও পরিবারসহ ঘুরতে আসা মানুষদের।
গত ৯ ও ১০ জুন কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থীর ভিড় কুমিল্লা ধর্মসাগর পাড় এবং গোমতী নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন রিসোর্টগুলোতে। গত চারদিন ধর্মসাগর পাড়ে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এছাড়া নদীর পানি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় করে নগরীসহ আশপাশের উপজেলা দর্শনার্থীরা।
ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে এগিয়ে থাকা কুমিল্লা দেশ-বিদেশে পর্যটন জেলা হিসেবেও বেশ খ্যাতি পেয়েছে। ঈদের ৪র্থ দিন কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর পাড়, কুমিল্লা শালবন বিহার, ম্যাজিক প্যারাডাইস, রূপসাগর, ফান টাউন, গোমতী টাচসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, মনের আনন্দে নানা পোশাকে সেজে শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সি মানুষ এসেছেন ঘুরতে। কেউ এসেছেন অটো রিকশায়, কেউ এসেছেন মোটরসাইকেলে, কেউ এসেছেন প্রাইভেটকার ও বাসি এবং মাইক্রোবাসে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশেষ করে যারা সরকারি চাকরি করেন তাদের ক্ষেত্রে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ঘোরাফেরা করা একেবারেই সম্ভব হয় না। তাই ঈদের ছুটিগুলোতে বাচ্চাদের নিয়ে যথেষ্ট সময় দিয়ে বেড়ানো সম্ভব হয়। এ কারণেই পবিত্র ঈদ বা বিশেষ দিনগুলোতে বেড়ান তারা। এবারের ঈদুল আজহায় দীর্ঘ ছুটির কারণে বেড়ানোর সুযোগটা তাই ছিল বেশি।
নগরীর ধর্মসাগর পাড়ে ঘুরতে আসা রেইসকোর্স এলাকার ফাহমিদা নাসরিন দৈনিক আমার দেশকে বলেন, শহরের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র ধর্মসাগর পাড় মানুষের ভিড়ে মুখরিত । লম্বা ছুটির কারণে এত ভিড় । ঈদ আনন্দে মানুষের কোলাহল দেখতে ভালো লাগে । এজন্যই বাচ্চাদের নিয়ে বের হয়েছি ।
নগরীর কান্দির পাড় থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গোমতী তীরে ঘুরতে আসা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মনির দৈনিক আমার দেশকে বলেন, শহরের কাছাকাছি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গোমতী নদীর রিসোর্টগুলো পছন্দনীয় জায়গা। ঈদে বাচ্চাদের ঘুরতে ভালো লাগে এজন্য ঘুরতে আসা।
বুড়িচং উপজেলা পয়াত সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত জাহান নওরীন মায়ের সঙ্গে ঘুরতে এসেছেন কুমিল্লা কোটবাড়ি শালবন বিহারে । তার মা মৌসুমী বলেন, অনেক ভালো লাগছে, গত ঈদের তুলনায় এবার ঈদে মানুষের উপস্থিতি বেশি। প্রচণ্ড গরমে বাচ্চাদের ঘরে রাখতে পারছি না। কোট বাড়িতে শালবন বিহার ও ম্যাজিক প্যারাডাইসে ঘুরতে যাব ।
ধর্মসাগর পাড়ের মোল্লা ভাই বেলপুড়ি ও ফুচকা বিক্রি করেন । ক্রেতাদের ভিড়ের কারণে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয় । দৈনিক আমার দেশকে মোল্লা ভাই বলেন, এবারের ঈদ উদযাপন করার জন্য মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। সব মানুষের মনে কেমন জানি একটা আনন্দের উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে ।
ব্রাহ্মণপাড়া থেকে ছোট বোনদের নিয়ে কুমিল্লা ধর্মসাগর পাড়ে ঘুরতে এসেছেন ঠিকাদার আতিকুর রহমান। তিনি দৈনিক আমার দেশকে বলেন, এত মানুষ কখনো দেখিনি। মনে হচ্ছে কুমিল্লার সব মানুষ ধর্মসাগর পাড়ে চলে এসেছে।
গোমতী তীরে গড়ে ওঠা গোমতী টাচের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন আকাঈদ বলেন, কুমিল্লা কোটবাড়ির দিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে মানুষ গোমতী নদীর পাড়ে ছুটে আসছে । গোমতী টাচে প্রচুর গাছপালা আছে এবং গাছের ছায়ার নিচে বসে শীতল হাওয়ার পাশাপাশি নদীর পানির সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে দর্শনার্থীরা। ঈদের দিন ভিড় কম থাকলেও গত তিনদিন ধরে গোমতী নদীর পাড়ে উপচেপড়া ভিড়।
ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান শাহিন আলম বলেন, প্রচণ্ড গরমে উপস্থিতি একটু কম। ঈদের পরদিন আড়াইহাজার এবং ঈদের তৃতীয় দিন ৩ হাজার দর্শনার্থী এসেছে। লম্বা ছুটির কারণে দর্শনার্থীরা ধাপে ধাপে আসছে । অন্যান্য সময়ে শুক্রবার ও শনিবার যে পরিমাণ দর্শনার্থী হয় । তার থেকে একটু বেশি হচ্ছে ঈদের সময়টাতে ।
ঈদের লম্বা ছুটিতে জমে ওঠে কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলো। জেলার ডজনখানেক বিনোদন কেন্দ্র এখনো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর। তীব্র গরম উপেক্ষা করে আনন্দে মাতোয়ারা নানা বয়সি মানুষ। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে তরুণ-তরুণী, শিশু ও পরিবারসহ ঘুরতে আসা মানুষদের।
গত ৯ ও ১০ জুন কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থীর ভিড় কুমিল্লা ধর্মসাগর পাড় এবং গোমতী নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন রিসোর্টগুলোতে। গত চারদিন ধর্মসাগর পাড়ে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এছাড়া নদীর পানি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় করে নগরীসহ আশপাশের উপজেলা দর্শনার্থীরা।
ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে এগিয়ে থাকা কুমিল্লা দেশ-বিদেশে পর্যটন জেলা হিসেবেও বেশ খ্যাতি পেয়েছে। ঈদের ৪র্থ দিন কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর পাড়, কুমিল্লা শালবন বিহার, ম্যাজিক প্যারাডাইস, রূপসাগর, ফান টাউন, গোমতী টাচসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, মনের আনন্দে নানা পোশাকে সেজে শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সি মানুষ এসেছেন ঘুরতে। কেউ এসেছেন অটো রিকশায়, কেউ এসেছেন মোটরসাইকেলে, কেউ এসেছেন প্রাইভেটকার ও বাসি এবং মাইক্রোবাসে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশেষ করে যারা সরকারি চাকরি করেন তাদের ক্ষেত্রে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ঘোরাফেরা করা একেবারেই সম্ভব হয় না। তাই ঈদের ছুটিগুলোতে বাচ্চাদের নিয়ে যথেষ্ট সময় দিয়ে বেড়ানো সম্ভব হয়। এ কারণেই পবিত্র ঈদ বা বিশেষ দিনগুলোতে বেড়ান তারা। এবারের ঈদুল আজহায় দীর্ঘ ছুটির কারণে বেড়ানোর সুযোগটা তাই ছিল বেশি।
নগরীর ধর্মসাগর পাড়ে ঘুরতে আসা রেইসকোর্স এলাকার ফাহমিদা নাসরিন দৈনিক আমার দেশকে বলেন, শহরের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র ধর্মসাগর পাড় মানুষের ভিড়ে মুখরিত । লম্বা ছুটির কারণে এত ভিড় । ঈদ আনন্দে মানুষের কোলাহল দেখতে ভালো লাগে । এজন্যই বাচ্চাদের নিয়ে বের হয়েছি ।
নগরীর কান্দির পাড় থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গোমতী তীরে ঘুরতে আসা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মনির দৈনিক আমার দেশকে বলেন, শহরের কাছাকাছি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গোমতী নদীর রিসোর্টগুলো পছন্দনীয় জায়গা। ঈদে বাচ্চাদের ঘুরতে ভালো লাগে এজন্য ঘুরতে আসা।
বুড়িচং উপজেলা পয়াত সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত জাহান নওরীন মায়ের সঙ্গে ঘুরতে এসেছেন কুমিল্লা কোটবাড়ি শালবন বিহারে । তার মা মৌসুমী বলেন, অনেক ভালো লাগছে, গত ঈদের তুলনায় এবার ঈদে মানুষের উপস্থিতি বেশি। প্রচণ্ড গরমে বাচ্চাদের ঘরে রাখতে পারছি না। কোট বাড়িতে শালবন বিহার ও ম্যাজিক প্যারাডাইসে ঘুরতে যাব ।
ধর্মসাগর পাড়ের মোল্লা ভাই বেলপুড়ি ও ফুচকা বিক্রি করেন । ক্রেতাদের ভিড়ের কারণে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয় । দৈনিক আমার দেশকে মোল্লা ভাই বলেন, এবারের ঈদ উদযাপন করার জন্য মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। সব মানুষের মনে কেমন জানি একটা আনন্দের উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে ।
ব্রাহ্মণপাড়া থেকে ছোট বোনদের নিয়ে কুমিল্লা ধর্মসাগর পাড়ে ঘুরতে এসেছেন ঠিকাদার আতিকুর রহমান। তিনি দৈনিক আমার দেশকে বলেন, এত মানুষ কখনো দেখিনি। মনে হচ্ছে কুমিল্লার সব মানুষ ধর্মসাগর পাড়ে চলে এসেছে।
গোমতী তীরে গড়ে ওঠা গোমতী টাচের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন আকাঈদ বলেন, কুমিল্লা কোটবাড়ির দিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে মানুষ গোমতী নদীর পাড়ে ছুটে আসছে । গোমতী টাচে প্রচুর গাছপালা আছে এবং গাছের ছায়ার নিচে বসে শীতল হাওয়ার পাশাপাশি নদীর পানির সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে দর্শনার্থীরা। ঈদের দিন ভিড় কম থাকলেও গত তিনদিন ধরে গোমতী নদীর পাড়ে উপচেপড়া ভিড়।
ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান শাহিন আলম বলেন, প্রচণ্ড গরমে উপস্থিতি একটু কম। ঈদের পরদিন আড়াইহাজার এবং ঈদের তৃতীয় দিন ৩ হাজার দর্শনার্থী এসেছে। লম্বা ছুটির কারণে দর্শনার্থীরা ধাপে ধাপে আসছে । অন্যান্য সময়ে শুক্রবার ও শনিবার যে পরিমাণ দর্শনার্থী হয় । তার থেকে একটু বেশি হচ্ছে ঈদের সময়টাতে ।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৩ ঘণ্টা আগে