চাটখিলে বিধবা নারীকে কুপ্রস্তাব পুলিশের

উপজেলা প্রতিনিধি, চাটখিল (নোয়াখালী)
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪১

নোয়াখালীর চাটখিল থানায় ছেলের মুক্তির বিনিময়ে মাকে হেনস্তা ও কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. অলি উল্লাহর বিরুদ্ধে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় এ ঘটনার তদন্তের জন্য ডেকেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন।

এর আগে এসআই মো. অলি উল্লাহ, এএসআই নূরসহ পুলিশের তিন সোর্সের বিরুদ্ধে পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এক বিধবা নারী (৪৮)।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ভুক্তভোগীর ছেলেকে সাজানো মিথ্যা মাদকের মামলায় আটক করে পরদিন আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে তাকে জামিনে নিয়ে এলে আরেকটি মামলায় মিথ্যা সাক্ষী দিতে চাপ দেয় পুলিশ। এতে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে হয়রানি ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেওয়া হয়।

এদিকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ওই নারীকে এএসআই নূর ও পুলিশের সোর্স মো. মামুনের মাধ্যমের বাড়ি থেকে থানায় ডেকে আনেন এসআই মো. অলি উল্লাহ। পরে তিনি ছেলেকে মামলাসহ বিভিন্ন হয়রানি থেকে বাঁচতে হলে বাসায় গিয়ে তাকে (এসআই অলি উল্লাহ) একান্তে সময় দেয়ার প্রস্তাব দেন।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, থানায় না গেলে পরিণতি খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন এসআই অলি উল্লাহ। পরে থানায় গেলে তিনি একটি কক্ষে নিয়ে আমাকে অশালীনভাবে জড়িয়ে ধরেন। আমার মুখের নেকাব খুলে খারাপ অঙ্গভঙ্গি করেন ও তার বাসায় গিয়ে একান্তে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব করেন। অন্যথায় আমাদের মা ও ছেলেকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।

ওই নারী আরো দাবি করেন, পুলিশের সহযোগিতায় হালিমা দিঘির পাড় এলাকার লাতু মিয়ার ছেলে মো. মামুন মাদকের রমরমা ব্যবসা করে আসছে। আমার ছেলেকেও ওই ব্যাবসার প্রস্তাব করে। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে ফাঁসিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি নিরুপায় হয়ে পুলিশের আইজির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।

অভিযুক্ত এসআই মো. অলি উল্লাহ বলেন, আমি ওই নারীকে চিনি না। তার সঙ্গে এ ধরনের আচরণের বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। তার কোনো মামলা বা অভিযোগও আমার কাছে আছে বলে মনে হয় না। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি আমার বক্তব্য সেখানে উপস্থাপন করবো।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের বিষয়ে নির্দেশ পেয়ে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ পেয়ে সোমবার (১০ নভেম্বর) বাদী-বিবাদীদের আসতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে যথাসময়ে প্রতিবেদন দেয়া হবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত