আশ্বাস মিললেও জোটেনি ভাতার কার্ড

খাদেমুল ইসলাম, মাদারগঞ্জ (জামালপুর)
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ৩৭

৪২ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন আনোয়ারা। সেময় শেষ সম্বল বলতে ছিলো বাড়ির ভিটা। সেটুকু বিক্রি করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন তিনি। ১৯ বছর আগে সেই মেয়েও মারা যায়। এরপর থেকে শুধুই তার একাকী জীবন।

বিজ্ঞাপন

আনোয়ারার বর্তমান বয়স ৭৮ বছর। বার্ধক্যের কারণে বাসা বেধেছে নানান রোগ। চিকিৎসাতো দূরের কথা তিনবেলা খাবার জোটানোও তার জন্য কষ্টকর। জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে বেঁচে থাকতে একটি বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ডের অপেক্ষায় আছেন। এ কার্ডের জন্য ধরনা দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিদের ধারে ধারে। তবে তাদের আশ্বাস মিললেও জোটেনি সেই কাঙ্ক্ষিত কার্ড।

আনোয়ারা জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীর পাকেরদহ এলাকার বাসিন্দা। তিনি মাদারগঞ্জ পৌরসভার কামারপাড়া এলাকার আহজ্জলের স্ত্রী।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনিম্ন ৬২ বছর এবং পুরুষের বয়স সর্বনিম্ন ৬৫ বছর। সে অনুযায়ী আনোয়ারা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও দীর্ঘদিনেও কেউ তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি।

বৃদ্ধা আনোয়ারা বলেন, স্বামী, সন্তান, জায়গাজমি কিছুই নাই। এইহানে অন্যের বাড়িতে থাকি। মাইনষে আমারে খাওন-দাওন দেয়। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেইক্যা খুব কষ্টে আছি। অ্যাকটা ভাতার কার্ড পাইলে খুব উপকার হইতো।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও চরপাকেরদহ ইউনিয়নের প্রশাসক তৌফিকুল ইসলাম খালেক জানান, বৃদ্ধা আনোয়ারা বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনের সাথে মোবাইল নাম্বার না থাকায় ভাতা পায়নি। দ্রুত তাকে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত