পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও মহিপুর) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলোর নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেমেছি আমরা। এ লড়াইয়ের মাধ্যমে নব্য স্বৈরাচার হটিয়ে ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে হবে।’
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) শেষ বিকেলে মহিপুরের ডালবুগঞ্জ বাজার সংলগ্ন স্কুল মাঠে নির্বাচনী ইউনিয়ন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে তরুণদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। তাদের আন্দোলনের ফলেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছে এবং বেগম খালেদা জিয়া কারামুক্ত হয়েছেন। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরা চাঁদাবাজি, লুটপাট ও দখলদারিত্বে জড়িয়ে পড়েছে। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই তারা সবকিছু দখল করে রেখেছে।’
অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার সতর্ক করেও নিজের দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। যে দলের নেতা-কর্মীরা এখনই নিজের নেতার আদেশ মানেনা, তাদের হাতে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। জনগণ ইতোমধ্যে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।’
তিনি আরো বলেন, তাদের নেতা দেশে আসতে পারেন না, কারণ তিনি জানেন তার নেতা-কর্মীরা দেশজুড়ে অরাজকতা চালাচ্ছে। কোন মুখে এসে তিনি ভোট চাইবেন?
হাতপাখা প্রতীকের এ প্রার্থী ইসলামের পক্ষে ভোট আহ্বান করে বলেন, ‘সুখী, সমৃদ্ধ ও ইনসাফ-ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে হাতপাখায় ভোট দিয়ে নব্য স্বৈরাচারকে প্রতিহত করতে হবে এবং ইসলামী দলকে বিজয়ী করে সংসদে পাঠাতে হবে।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মাও. নাইমুল ইসলাম নাইম, মৌলভী মাহবুবুল আলম, অ্যাড. নূর হোসেন, মহিপুর থানা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ফারুক হোসেন, সদস্য মো. আফজাল হোসেন মুসুল্লি, জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন আমির মাও. নাইম হোসাইন, ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা পশ্চিমের শিক্ষা সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাদল, ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম ও মিঠাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মেজবাউদ্দিন খান দুলাল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আব্দুর রব হাওলাদার এবং সঞ্চালনা করেন ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাও. হেদায়েতুল্লাহ জেহাদি।
সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জামায়াতে ইসলামীসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকরা অংশগ্রহণ করেন।

