ড্রাগন চাষে সফল আমতলীর ইলিয়াস

উপজেলা প্রতিনিধি, আমতলী (বরগুনা)
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৮

ড্রাগন চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের টেপুড়া গ্রামের মোশারেফ মাতুব্বরের ছেলে ইলিয়াস হোসেন। তিনি ২০১৩ সালে পটুয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। বিভিন্ন সময় সরকারি চাকরির জন্য চেষ্টা করেন। অনেক চেষ্টার পরও চাকরি না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। চ্যানেল আইতে সাইখ সিরাজের উপস্থাপনায় হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠান দেখে তার মধ্যে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার স্বপ্ন জাগে।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের দিকে দুই একর ৫৮ শতাংশ জমি ২০ বছরের চুক্তিতে লিজ নিয়ে শুরু করেন ড্রাগন চাষ। বর্তমানে ১২০০ খুঁটিতে রোপণ করেছেন ড্রাগন গাছ । এক একটি খুঁটিতে চারটি করে মোট চার হাজার আটশত ড্রাগন গাছ রোপণ করেছেন। তিনি নিজেই সব গাছের পরিচর্যা করে থাকেন।

তার সাথে কথা বলে জানা যায়, বছরে তিনি পাঁচ লক্ষ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করে থাকেন। সার, ওষুধ, কিষান খরচ বাদ দিয়ে তিনি বছরে প্রায় তিন লক্ষ টাকা আয় করেন। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি ২০২২ সালে

তিনি বিভিন্ন প্রজাতির সাতশত আমের চারাও রোপণ করেছেন। আম বিক্রি করে বছরে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আয় করেছেন। বাগানের ভিতরে রয়েছে বিশাল এক পুকুর। পুকুরে মাছ চাষ করেও তিনি লাভবান হয়েছেন। পরিবারের চাহিদা মেটানোর পর অবশিষ্ট মাছ বিক্রি করে তিনি বছরে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন।

তিনি বলেন, আমতলী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সবসময় যেকোনো সমস্যা হলে তারা যথাসম্ভব পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাসেল মিয়া বলেন, ইলিয়াসের এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমতলীতে এলে তারা উৎসাহ নিয়ে ড্রাগন বাগান

পরিদর্শন করে থাকেন এবং ফলন বৃদ্ধির জন্য তাকে বিভিন্ন রকমের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

তিনি আরো বলেন, ড্রাগন একটি পুষ্টিকর ফল। এতে রয়েছে আয়রন, মানবদেহের হোমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতেও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে ড্রাগনের । বিশেষ করে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ড্রাগন উপকারী।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত