উপজেলা প্রতিনিধি, আমতলী (বরগুনা)
ভরা মৌসুমেও পায়রা নদীতে কাঙ্ক্ষিত রুপালি ইলিশের দেখা নেই । ইলিশের দেখা না পাওয়ায় জেলেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন । ডুরোচর ও তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের গরম পানি ও বর্জ্য পায়রা নদীতে ইলিশ প্রবেশ এবং প্রজননে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বলে জানান অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ গবেষক ড. মো. আনিছুর রহমান।
পায়রা নদীতে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা না পড়ায় উপকূলের ১৪ হাজার ৬৮৯ জেলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সাগর মোহনার ডুবোচর খনন করে পায়রা নদীতে ইলিশ প্রবেশ ও প্রজনন কার্যক্রম সুগত করার দাবি জানিয়েছেন জেলেরা।
বরগুনা জেলার, বুড়িশ্বর নদী বা পায়রা নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১২০০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বুড়িশ্বর নদী বা পায়রা নদীটি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাটি ইউনিয়ন এলাকার প্রবহমান পান্ডব নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা বঙ্গোপসাগরে নিপতিত হয়েছে। নদীটির উজানের তুলনায় ভাটির দিক অধিক প্রশস্ত।
অপরদিকে বিষখালী ও বলেশ্বর নদী বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। তিন নদীর মোহনাকে জেলেদের ভাষায় গাঙ্গের আইল বলা হয়। বঙ্গোপসাগরের মিলিত হওয়া বিষখালী-বলেশ্বর মোহনায় লালদিয়া সমুদ্র সৈকত এবং পায়রা-বিষখালীর মোহনায় পদ্মাবাবুগঞ্জচর। তিন নদীর মোহনায় এই চর স্বাভাবিক জোয়ারের পানি প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে নদীর গভীরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। পায়রা-বিষখালী নদীর মোহনায় রয়েছে বড়াইয়্যার ডুবোচর। ১৫-২০ কিলোমিটারজুড়ে এই চর ফকিরহাট থেকে শুরু করে আশার চরে মিলিত হয়েছে। এ চরটি বঙ্গোপসাগর থেকে পায়রা নদীতে জোয়ারের পানি প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে।
আশার চরের শেষ সীমানা থেকে শুরু হয়েছে নলবুনিয়ার ডুবোচর। এ চরের বিস্তৃতি ৭-৮ কিলোমিটার। এ ডুবোচরটি পায়রা নদীর প্রবেশ দ্বারে অবস্থিত। পায়রার প্রবেশমুখ অতিক্রম করে ৩-৪ কিলোমিটার পরে পরপর পদ্মা ও কুমিরমারা ডুবোচর। এ চরের বিস্তৃতি ৬-৭ কিলোমিটার। এ চরে পড়ন্ত ভাটায় লোকজন হাঁটাচলা করে। জেলেরা খুঁটি গেড়ে জাল ফেলে। জোয়ারের সময় এ ডুবোচরে প্রচণ্ড তুফান হয়। এ সময় ডুবোচরের কারণে সাগর থেকে জোয়ারের পানির সাথে রুপালি ইলিশ প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। এছাড়া ২০১৯ সালে তালতলীর বঙ্গোপসাগর মোহনা সংলগ্ন জয়ালভাঙ্গা এলাকায় আইসোটেক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। ২০২২ সালে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যায়। ওই সময় থেকে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য ও গরম পানি পায়রা নদীতে ফেলা হয়। এ সকল কারণে পায়রা নদীতে এখন ইলিশ প্রবেশে প্রধান বাধা। ফলে অন্যান্য নদীর তুলনায় পায়রা নদীতে কম ইলিশ প্রবেশ করে।
উপকূলীয় অঞ্চল আমতলী ও তালতলীতে ১৪ হাজার ৬৮৯ জন নিবন্ধনধারী জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে আমতলীর ৬ হাজার ৭৮৯ এবং তালতলীর ৭ হাজার ৯০০ জেলে। এরা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। সারা বছর মাছ শিকার করেই চলে তাদের সংসার জীবন। নদী ও সাগরে মাছ ধরা পড়লে ভালো চলে তাদের জীবনকাল। আর মাছ ধরা না পড়লে উনুনে পাতিল উঠে না বলে জানান জেলে ছত্তার।
উপকূলীয় অঞ্চলের গভীর সাগরে, সাগরের কিনারে এবং সাগরের শাখা-প্রশাখা নদীতে তিন শ্রেণির জেলে মাছ শিকার করেন। ইলিশের ভরা মৌসুম আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন মাস। এ চার মাসে জেলেরা মাছ শিকার করে সারা বছরের হিসাব চুকিয়ে নেয়। ইতোমধ্যে ইলিশ মৌসুমের এক মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু ভরা মৌসুম হলেও পায়রা নদীর জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না। এতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। দু-একটি যা পড়ছে তা দিয়ে সংসার চলে না বলে জানান জেলেরা।
তারা আরো জানান, পায়রা নদীতে ইলিশ প্রবেশের মূল অন্তরায় সাগর মোহনায় ডুবোচর। ডুবোচরের কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ইলিশ উল্টো পথে ফিরে যাচ্ছে। ফলে সাগর মোহনা দিয়ে তেমন ইলিশ পায়রা নদীতে প্রবেশ করছে না। এতে পায়রা নদীতে জেলেদের জালে তেমন মাছ ধরা পড়ছে না।
২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হানায় নদী গতিপথ হারিয়ে প্রচুর ডুবোচর সৃষ্টি হয়। সাগর মোহনার ডুবোচরের কারণে জোয়ারের প্রথম ভাগে পায়রা নদীতে তীব্রগতিতে পানি প্রবেশ করতে পারে না। ওই সময়ে ইলিশ নদীতে প্রবেশের মূল সময় থাকলেও ডুবোচরে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ইলিশ ফিরে যায়। জোয়ারের মধ্যভাগে এসে তীব্রগতিতে পায়রা নদীতে পানি প্রবেশ করলেও ওই সময়ে ইলিশের প্রভাব কমে যায়।
সাগর সংলগ্ন নলবুনিয়া গ্রামের জেলে আলমগীর হাওলাদার বলেন, সাগর মোহনায় ডুবোচর সৃষ্টি হওয়ায় পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের পানি প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। এতে ইলিশ পায়রায় প্রবেশ করতে পারে না। ডুবোচর খনন করে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ফিরে না আনতে পারলে পায়রায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলবে না। পায়রা নদীর জেলেদের রক্ষায় দ্রুত ডুবো চর খনন করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের গরম পানি ও বর্জ্য।
পায়রা নদীতে ইলিশ শিকারি জেলে ছত্তার, লাল মিয়া ও জাহিদ মোল্লা বলেন, জোয়ারের প্রথম ভাগে নদীতে তেমন স্রোত থাকে না। ফলে ইলিশ প্রবেশ করতে পারে না। জোয়ারের মধ্যভাগে নদীতে স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। ওই স্রোতে আসা ইলিশ আমাদের জালে ধরা দেয়। তাই পায়রা নদীতে তেমন ইলিশের দেখা মেলে না।
তারা আরো বলেন, নদীর মোহনায় সৃষ্ট ডুবোচরগুলো খনন করা না হলে পায়রা নদীতে ইলিশ প্রবেশ করবে না।
তালতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, সাগর মোহনায় ডুবোচরের কারণে পায়রা নদীর নাব্য হারিয়েছে। এতে জোয়ারের স্রোতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় ইলিশ প্রবেশে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই পায়রা নদীতে ইলিশ কম। পায়রা নদীর মোহনায় ডুবোচর খনন করে নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে পারলে ইলিশ প্রবেশ এবং প্রজননে কোনো বাধা থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, সাগর থেকে প্রথম জোয়ারের সঙ্গে নদীতে ইলিশ প্রবেশ করে। ওই সময় ইলিশ ডুবোচরে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে উল্টো পথে সাগরে ফিরে যায়।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ গবেষক ড. মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, সাগর মোহনা অঞ্চলে ডুবোচর তথা তীব্র নাব্য সংকটে ইলিশ চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। ইলিশ চলাচলে গভীর পানির প্রয়োজন কিন্তু ডুবোচরের কারণে সাগর মোহনা দিয়ে ইলিশ প্রবেশ করতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, সাগর মোহনার জয়ালভাঙ্গা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের গরম পানি ও বর্জ্যও ইলিশ না পাওয়ার জন্য দায়ী।
ভরা মৌসুমেও পায়রা নদীতে কাঙ্ক্ষিত রুপালি ইলিশের দেখা নেই । ইলিশের দেখা না পাওয়ায় জেলেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন । ডুরোচর ও তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের গরম পানি ও বর্জ্য পায়রা নদীতে ইলিশ প্রবেশ এবং প্রজননে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বলে জানান অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ গবেষক ড. মো. আনিছুর রহমান।
পায়রা নদীতে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা না পড়ায় উপকূলের ১৪ হাজার ৬৮৯ জেলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সাগর মোহনার ডুবোচর খনন করে পায়রা নদীতে ইলিশ প্রবেশ ও প্রজনন কার্যক্রম সুগত করার দাবি জানিয়েছেন জেলেরা।
বরগুনা জেলার, বুড়িশ্বর নদী বা পায়রা নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১২০০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বুড়িশ্বর নদী বা পায়রা নদীটি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাটি ইউনিয়ন এলাকার প্রবহমান পান্ডব নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা বঙ্গোপসাগরে নিপতিত হয়েছে। নদীটির উজানের তুলনায় ভাটির দিক অধিক প্রশস্ত।
অপরদিকে বিষখালী ও বলেশ্বর নদী বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। তিন নদীর মোহনাকে জেলেদের ভাষায় গাঙ্গের আইল বলা হয়। বঙ্গোপসাগরের মিলিত হওয়া বিষখালী-বলেশ্বর মোহনায় লালদিয়া সমুদ্র সৈকত এবং পায়রা-বিষখালীর মোহনায় পদ্মাবাবুগঞ্জচর। তিন নদীর মোহনায় এই চর স্বাভাবিক জোয়ারের পানি প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে নদীর গভীরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। পায়রা-বিষখালী নদীর মোহনায় রয়েছে বড়াইয়্যার ডুবোচর। ১৫-২০ কিলোমিটারজুড়ে এই চর ফকিরহাট থেকে শুরু করে আশার চরে মিলিত হয়েছে। এ চরটি বঙ্গোপসাগর থেকে পায়রা নদীতে জোয়ারের পানি প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে।
আশার চরের শেষ সীমানা থেকে শুরু হয়েছে নলবুনিয়ার ডুবোচর। এ চরের বিস্তৃতি ৭-৮ কিলোমিটার। এ ডুবোচরটি পায়রা নদীর প্রবেশ দ্বারে অবস্থিত। পায়রার প্রবেশমুখ অতিক্রম করে ৩-৪ কিলোমিটার পরে পরপর পদ্মা ও কুমিরমারা ডুবোচর। এ চরের বিস্তৃতি ৬-৭ কিলোমিটার। এ চরে পড়ন্ত ভাটায় লোকজন হাঁটাচলা করে। জেলেরা খুঁটি গেড়ে জাল ফেলে। জোয়ারের সময় এ ডুবোচরে প্রচণ্ড তুফান হয়। এ সময় ডুবোচরের কারণে সাগর থেকে জোয়ারের পানির সাথে রুপালি ইলিশ প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। এছাড়া ২০১৯ সালে তালতলীর বঙ্গোপসাগর মোহনা সংলগ্ন জয়ালভাঙ্গা এলাকায় আইসোটেক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। ২০২২ সালে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যায়। ওই সময় থেকে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য ও গরম পানি পায়রা নদীতে ফেলা হয়। এ সকল কারণে পায়রা নদীতে এখন ইলিশ প্রবেশে প্রধান বাধা। ফলে অন্যান্য নদীর তুলনায় পায়রা নদীতে কম ইলিশ প্রবেশ করে।
উপকূলীয় অঞ্চল আমতলী ও তালতলীতে ১৪ হাজার ৬৮৯ জন নিবন্ধনধারী জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে আমতলীর ৬ হাজার ৭৮৯ এবং তালতলীর ৭ হাজার ৯০০ জেলে। এরা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। সারা বছর মাছ শিকার করেই চলে তাদের সংসার জীবন। নদী ও সাগরে মাছ ধরা পড়লে ভালো চলে তাদের জীবনকাল। আর মাছ ধরা না পড়লে উনুনে পাতিল উঠে না বলে জানান জেলে ছত্তার।
উপকূলীয় অঞ্চলের গভীর সাগরে, সাগরের কিনারে এবং সাগরের শাখা-প্রশাখা নদীতে তিন শ্রেণির জেলে মাছ শিকার করেন। ইলিশের ভরা মৌসুম আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন মাস। এ চার মাসে জেলেরা মাছ শিকার করে সারা বছরের হিসাব চুকিয়ে নেয়। ইতোমধ্যে ইলিশ মৌসুমের এক মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু ভরা মৌসুম হলেও পায়রা নদীর জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না। এতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। দু-একটি যা পড়ছে তা দিয়ে সংসার চলে না বলে জানান জেলেরা।
তারা আরো জানান, পায়রা নদীতে ইলিশ প্রবেশের মূল অন্তরায় সাগর মোহনায় ডুবোচর। ডুবোচরের কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ইলিশ উল্টো পথে ফিরে যাচ্ছে। ফলে সাগর মোহনা দিয়ে তেমন ইলিশ পায়রা নদীতে প্রবেশ করছে না। এতে পায়রা নদীতে জেলেদের জালে তেমন মাছ ধরা পড়ছে না।
২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হানায় নদী গতিপথ হারিয়ে প্রচুর ডুবোচর সৃষ্টি হয়। সাগর মোহনার ডুবোচরের কারণে জোয়ারের প্রথম ভাগে পায়রা নদীতে তীব্রগতিতে পানি প্রবেশ করতে পারে না। ওই সময়ে ইলিশ নদীতে প্রবেশের মূল সময় থাকলেও ডুবোচরে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ইলিশ ফিরে যায়। জোয়ারের মধ্যভাগে এসে তীব্রগতিতে পায়রা নদীতে পানি প্রবেশ করলেও ওই সময়ে ইলিশের প্রভাব কমে যায়।
সাগর সংলগ্ন নলবুনিয়া গ্রামের জেলে আলমগীর হাওলাদার বলেন, সাগর মোহনায় ডুবোচর সৃষ্টি হওয়ায় পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের পানি প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। এতে ইলিশ পায়রায় প্রবেশ করতে পারে না। ডুবোচর খনন করে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ফিরে না আনতে পারলে পায়রায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলবে না। পায়রা নদীর জেলেদের রক্ষায় দ্রুত ডুবো চর খনন করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের গরম পানি ও বর্জ্য।
পায়রা নদীতে ইলিশ শিকারি জেলে ছত্তার, লাল মিয়া ও জাহিদ মোল্লা বলেন, জোয়ারের প্রথম ভাগে নদীতে তেমন স্রোত থাকে না। ফলে ইলিশ প্রবেশ করতে পারে না। জোয়ারের মধ্যভাগে নদীতে স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। ওই স্রোতে আসা ইলিশ আমাদের জালে ধরা দেয়। তাই পায়রা নদীতে তেমন ইলিশের দেখা মেলে না।
তারা আরো বলেন, নদীর মোহনায় সৃষ্ট ডুবোচরগুলো খনন করা না হলে পায়রা নদীতে ইলিশ প্রবেশ করবে না।
তালতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, সাগর মোহনায় ডুবোচরের কারণে পায়রা নদীর নাব্য হারিয়েছে। এতে জোয়ারের স্রোতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় ইলিশ প্রবেশে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই পায়রা নদীতে ইলিশ কম। পায়রা নদীর মোহনায় ডুবোচর খনন করে নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে পারলে ইলিশ প্রবেশ এবং প্রজননে কোনো বাধা থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, সাগর থেকে প্রথম জোয়ারের সঙ্গে নদীতে ইলিশ প্রবেশ করে। ওই সময় ইলিশ ডুবোচরে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে উল্টো পথে সাগরে ফিরে যায়।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ গবেষক ড. মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, সাগর মোহনা অঞ্চলে ডুবোচর তথা তীব্র নাব্য সংকটে ইলিশ চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। ইলিশ চলাচলে গভীর পানির প্রয়োজন কিন্তু ডুবোচরের কারণে সাগর মোহনা দিয়ে ইলিশ প্রবেশ করতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, সাগর মোহনার জয়ালভাঙ্গা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের গরম পানি ও বর্জ্যও ইলিশ না পাওয়ার জন্য দায়ী।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
১ ঘণ্টা আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগেসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে তা জানার পরই সাথে সাথে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে