বাঁশখালীতে নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করলেন আশিক

উপজেলা প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ০৭

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দুইবার গুমের শিকার হওয়া আলোচিত ছাত্রনেতা মফিজুর রহমান আশিক বাঁশখালীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছেন।

মাঠে নেমে ধারাবাহিক প্রচারণার মাধ্যমে তিনি এলাকায় এই আলোড়ন সৃষ্টি করেন।

বিজ্ঞাপন

বাঁশখালীতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে তার ত্যাগ, সংগ্রাম ও মাঠপর্যায়ের কাজ-সব মিলিয়ে তাকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় এনেছে বলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

এবার বিএনপির মনোনয়ন পাবেন বুকে প্রচন্ড আশা নিয়ে তিনি বলেন, গত ১৭ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে আমার ত্যাগ ও ভূমিকা বিবেচনায় আমি-ই মনোনয়ন পাবো ইনশাআল্লাহ। তিনি উল্লেখ করেন, দেশনায়ক তারেক রহমান ক্লিন ইমেজের ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন, যা তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করেছে।

নিজেকে গুম করার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে আশিক বলেন, ২০১৩ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের সময় বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে তাকে রাজধানীর মিরপুর থেকে তুলে নেয়া হয়। চোখ বাঁধা অবস্থায় ইলেকট্রিক শক ও ঝুলিয়ে রেখে নির্মম নির্যাতন সহ্য করার পর ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তাকে হাতিরঝিলে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

ওয়ান ইলেভেনের সময় ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক এই শিক্ষার্থী। ২০০৭ সালে তারেক রহমান গ্রেপ্তারের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রথম বিক্ষোভে অংশ নেয়া থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী-বিরোধী ছাত্রবিক্ষোভ এবং ২০০৮ সালের সংঘর্ষ সব ক্ষেত্রেই তিনি সামনের সারিতে ছিলেন বলে দাবি করেন।

২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে হরতাল-অবরোধসহ প্রতিটি কর্মসূচিতে ভূমিকা রাখার কথাও জানান তিনি। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবীব উন নবী সোহেলের সঙ্গে প্রথম মিছিল বের করার ঘটনাও স্মরণ করেন।

২০১৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তার হয়ে দেড় মাস কারাভোগের পরও আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিলেন বলে দাবি আশিকের।

দ্বিতীয়বার গুমের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২২ সালে মানবাধিকার সংস্থার কাছে সাক্ষাৎকার দেয়ার পর তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হন। সিটিটিসির ‘জঙ্গি নাটক’ সংক্রান্ত ভিডিও দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় সরবরাহ করায় দ্বিতীয়বার তাকে তুলে নেয়া হয়। তার এই ঘটনার উল্লেখ মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদনেও স্থান পায়। পরে রাষ্ট্রদ্রোহ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে ৯ মাস কারাগারে রাখা হয়।

জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান চলাকালীন আন্দোলন সংগঠনে তার ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন আশিক। আন্দোলন স্থগিতের শঙ্কা তৈরি হলে তিনি ছাত্র সমন্বয়কদের কর্মসূচি ঘোষণা, পরামর্শ প্রদান এবং মাঠপর্যায়ের সংগঠনে নেতৃত্ব দেন বলে দাবি করেন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত