মেঘনা গ্রুপের পেটে সরকারি খাল, সড়ক-সেতু! উদ্ধার চায় এলাকাবাসী

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ‘কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চল- ২’ দখল করে রেখেছে মেঘনা গ্রুপ। এছাড়াও এ এলাকায় মেঘনা গ্রুপ সীমানা প্রাচীর দিয়ে বালু ভরাটের মাধ্যমে দখল করে রেখেছে সাধারণ মানুষের জমি, সরকারি জমি, সড়ক ও বিভিন্ন সেতু।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার লুটের চর থেকে ভাটের চর সড়কটি নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করে দেন মফিজুল ইসলাম দুধ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মফিজুল ইসলাম। পরবর্তীতে সড়কটির মাঝে খালের মধ্যে সরকারি সেতু নির্মাণ করা হয়। একটি ছোট কালভার্ট নির্মাণ করা হয় এবং এলজিইডির একটি আইডি নাম্বার করানো হয় পাকা করণের জন্য। মেঘনা গ্রুপ সড়ক, সেতু, এবং সড়কের পাশে থাকা প্রায় ৪৩টি আকাশমণি গাছ কেটে আওয়ামী লীগের আমলে এলাকার প্রভাবশালীদের সমন্বয়ে তিন ফসলি কৃষি জমি ক্রয় করে এবং সরকারি খাল, খাস সহ নদীর জমি ভরাট করে। যা পরবর্তীতে কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষনা করে সরকার।

এ বিষয়ে লুটের চর এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গাফফার বলেন, লুটের চর এলাকার বাসিন্দাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ কাচা সড়ক এটি নদীতে যাওয়া জমিতে কাজ করতে এই সড়কটি ব্যবহার হত কোম্পানি আমাদের বলেছে এলাকায় একটি স্টেডিয়ামের জন্য জমি দিবে এই বলে সড়ক– সেতুসহ গাছপালা দখল করে নিয়েছে কিন্তু বলেও দেয়নি আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে।

লুটের চর ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুল গাফফার বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা কোম্পানির সাথে সমঝোতা করেছিলেন একটি স্টেডিয়াম দিবে। আজও দেয়নি আমিও সরকারি সম্পদ উদ্ধার চাই।

লুটের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, আগে যারা উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিল তারা কোম্পানি সাথে মিলে এলাকাবাসীকে স্টেডিয়াম দিবে বলে আর দেয়নি কোম্পানি প্রতারণা করছে।

সরকারি সড়কসহ খাল, খাস জমি দখল করেছে কিন্তু আমাদের স্টেডিয়ামের জমি দেয়নি তিনি সরকারের কাছে আবেদন জানান, সড়কটি জনগণের প্রয়োজনে দখল মুক্ত করা হোক।

কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চল-২ সিনিয়র ডিজিএম মনিরুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সরকারি সড়ক, খাল, সেতু বেদখল হওয়ার বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভুমি লুৎফুন নাহার শারমীন দৈনিক আমার দেশকে বলেন, এলজিইডির সাথে কথা বলে পরবর্তীতে আমরা ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।

সূত্র জানায়, এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা বলেন, এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় কোম্পানি আমাকেসহ স্থানীয়দের নামে মিথ্যা মামলা করেছে।