মুরাদনগরের আলোচিত ধর্ষণ ঘটনায় মূল আসামি ফজর আলীসহ গ্রেপ্তার ৫

জেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ১০: ১৬
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, ১০: ৩৫

কুমিল্লা মুরাদনগরের ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামি ফজর আলীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমদ খাঁন।

বিজ্ঞাপন

অন্য আসামিরা হলো আব্দুল হান্নানের ছেলে সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান, মো. আলমের ছেলে মো. আরিফ, মো. তালেম হোসেনের ছেলে মো. অনিক। সব আসামি মুরাদনগর বাহেরচর পাঁচকিত্তা এলাকার বাসিন্দা।

২৬ জুন রাতে মুরাদনগর উপজেলায় ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের ৫১ সেকেন্ড ও ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের দুটি ভিডিও শনিবার রাত থেকে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, ১০-১২ জন যুবক ওই নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করছে। এ সময় ওই নারী চিৎকার করছেন।

পুলিশ বলছে, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার আগে নির্যাতনের বিষয়টি কেউ পুলিশকে জানায়নি। ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার মামলা করেছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী মুরাদনগর থানায় ফজর আলীকে (৩৮) আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক ছিল।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ঘটনার রাতে তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। ওই সময় ফজর আলী বাড়িতে এসে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। ভুক্তভোগী দরজা না খুললে অভিযুক্তরা কৌশলে ঘরে ঢোকেন এবং তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ফজর আলীকে আটক করে মারধর করেন এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, অভিযুক্ত ফজর আলী বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগীর স্বামী পাঁচ বছর ধরে প্রবাসে এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা তিনি পুলিশকে বলেননি। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়াটা আইনগত অপরাধ। আমরা সেই ভিডিও ছড়ানোর উৎসও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় যারা জড়িত সবাই শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমদ খাঁন বলেন, দেশজুড়ে সমালোচনা সৃষ্টি করা কুমিল্লার মুরাদনগরের ধর্ষণ ঘটনার মূল আসামি ফজর আলীকে ভোর ৫টায় ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আরো চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত