কক্সবাজার সৈকতে বাবা-ছেলেসহ ৫ পর্যটকের লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৫, ১৬: ০৩
আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, ১৬: ১৩

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসল ও মাছ ধরতে গিয়ে দু’দিনে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন স্থানীয় অধিবাসীও রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নিত্যানন্দ দাস সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কুরবানি ঈদের ছুটিতে রোববার ও সোমবার বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুর এই ঘটনা ঘটে।

এএসপি নিত্যানন্দ জানান, সোমবার বেলা ২টার দিকে সমুদ্র সৈকতের সায়মন বিচ পয়েন্টে এক সঙ্গে গোসলে নেমে ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যাচ্ছিলেন ছেলে। তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যান বাবা। দায়িত্বরত লাইফগার্ড কর্মীরা তাদের দেখতে পেয়ে দ্রুত উদ্ধার করে কক্সাবজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অতিরিক্ত রক্ত বমির কারণে তাদের মৃত্যু হয়।

নিহত বাবা-ছেলে হলেন শাহীনুর রহমান (৬০) ও তার ছেলে সিফাত (২০)। তারা রাজশাহী থেকে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছিলেন।

অপরদিকে রোববার বিকেল ৫টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে গোসলে নেমে সলিল সমাধি হয় রাজীব আহমদ (৩৫) নামের এক পর্যটকের। তিনি চট্টগ্রাম শহরের ডিসি রোডের বাসিন্দা নজির আহমদের ছেলে।

পুলিশ সূত্র মতে, রোববার সকালে পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে চট্টগ্রাম থেকে রাজীব আহমদ কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। বিকাল ৫টার দিকে তারা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যান। পরে লাবণী পয়েন্টের একটু দক্ষিণে সাগরে বন্ধুরা মিলে গোসলে নামেন। এক পর্যায়ে স্রোতের টানে তাদের মধ্যে

দু’জন ভেসে যান।

এএসপি নিত্যানন্দ দাস জানান, উদ্ধার তৎপরতার এক পর্যায়ে রোববার মধ্যরাত সোয়া ১২টার দিকে কক্সবাজার সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টের উত্তর দিকের এলাকায় জোয়ারের সময় একটি লাশ ভেসে আসে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবরটি জানার পর লাইফগার্ড কর্মীরা লাশটি উদ্ধার করেন।

অপরদিকে একইদিন বেলা ২টার দিকে সমুদ্র সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে মাছ ধরতে গিয়ে স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হন নুরুজ্জামান ওরফে খুইল্লা (৬০) নামের স্থানীয় এক জেলে। সোমবার দুপুর ২টার দিকে সাগরে ভাসন্ত অবস্থায় নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নুরুজ্জামান ওরফে খুইল্লা কক্সবাজার পৌরসভার দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা।

আরেক সূত্র মতে, একই দিন দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার শহরের অনতিদূরের হিমছড়ি সৈকতের লাল কাঁকড়া পয়েন্ট থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি সাংবাদিকদের জানান, পর্যটক বাবা-ছেলেসহ দু’দিনে সমুদ্র সৈকত থেকে পাঁচটি লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন।

তিনি জানান, পর্যটকদের লাশগুলো কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পরে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়।

এমএস

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত