কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

উপজেলা প্রতিনিধি, কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট (নোয়াখালী)
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ৫৪
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ৩২

বিএনপির প্রয়াত নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ নোয়াখালী জেলা বিএনপি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি।

সোমবার দুপুর ১২টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে নির্ঝর কনভেনশন হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল আলম শিকদার, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির নব-নির্বাচিত আহ্বায়ক আবদুল মতিন লিটন ও পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, বসুরহাট পৌরসভার সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শওকত হোসেন ছগীর।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামী থেকে বিএনপিতে যোগ দেয়া ফখরুল ইসলাম রোববার সন্ধ্যায় তার বাসভবনে আমাদের নেতা মওদুদ আহমদ, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, নোয়াখালী জেলা বিএনপি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করেছেন। তিনি ২০২৪ইং সালে ৫ আগস্টের আগে এস.আলম গ্রুপের পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ছিলেন। ৫ আগস্টের পরে তিনি জামায়াতে ইসলামীর ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান হয়েছেন। এরপর তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের সামনে চার ‘শ কোটি টাকার ভবন দখল করে নিয়েছেন।

বক্তারা আরো বলেন, ফখরুল ইসলাম কোম্পানীগঞ্জের বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য জামায়াত ও এনসিপির অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আমরা ফখরুলের এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অপর দিকে, সাহাব উদ্দিনের উপর হামলার প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যায় ফখরুল ইসলাম তার বসুরহাট পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, আবদুল মতিন তোতার ছেলে ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ইসমাইল তোতা, সবুজ তোতা, সাব্বির তোতা ও বাহাদুর তোতাসহ ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিনকে দিনে দুপুরে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল আলম সিকদার, সেক্রেটারি মাহমুদুর রহমান রিপনসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় তিনি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে নিয়ে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করেন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভুয়া কেন্দ্রীয় নেতা বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, শিকদার ও রিপনকে দিয়ে চরএলাহী ঘাটে চাঁদাবাজি করেন। চাঁদাবাজির একটা অংশ আবেদের পকেটে চলে যায়। এরা অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথেও জড়িত।

তিনি নোয়াখালী জেলা বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে বলেন, কোনো চাঁদাবাজ নেতাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কমিটিতে রাখলে জনগণকে সাথে নোয়াখালী জেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ঘেরাও করা হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত