মতলবে নিরীহ কাঠমিস্ত্রিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গোয়ালঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে টানা ৪ দিন অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী কাঠমিস্ত্রির নাম লোকমান হোসেন ভুইয়া। ঘটনাটি ঘটেছে মতলব উত্তরের রায়ের কান্দি গ্রামে। অভিযুক্ত ব্যক্তি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার প্রভাবশালী মো. মাসুদ।
ভুক্তভোগীর মায়ের অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত মোঃ মাসুদকে আটক করে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মো. মাসুদ দীর্ঘদিন ধরেই মতলব উত্তরের রায়েরকান্দি গ্রামে উচ্ছৃঙ্খলভাবে বসবাস করে আসছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ধনাগোদা নদীতে জাঁগ তৈরি করে মাছ চাষ করার অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি ওই জাঁগে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারার সন্দেহে গত ১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে কাঠমিস্ত্রি লোকমান হোসেন ভুইয়াকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় মাসুদ ও তার সহযোগীরা। পরে তাকে একটি গোয়ালঘরে সিঁকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। এসময় লোকমানকে দোষ স্বীকার করতে চাপ দেওয়া হয়। বলা হয়, দোষ স্বীকার করলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর মা জাহানারা বেগম ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে অভিযুক্ত মাসুদ ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে লোকমানকে উদ্ধার করে। পরে অভিযুক্ত মাসুদকে গ্রেফতার করে।
ভুক্তভোগী কাঠমিস্ত্রি লোকমান হোসেন বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। কাঠমিস্ত্রির কাজ করি। কারো সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। আমাকে জোর করে ধরে এনে গরু ঘরে বেঁধে অনেক মারধর করেছে। আমাকে বলেছে আমি যেন স্বীকার করি তার জাঁগ ভেঙেছি। কিন্তু আমি কিছুই জানি না।’
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস বলেন, ‘লোকমানকে অমানুষিকভাবে সিঁকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখে মারধর করা হয়েছে। প্রায় ৪ দিন ধরে এই নির্যাতন চালানো হয়। তার মা থানায় খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। অভিযুক্ত মাসুদকে গ্রেফতার করি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

