স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় চাঁদা না দেয়ায় একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের স্টেজ থেকে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় বিএনপি নেতা ও খেলার আয়োজক প্রকৌশলী ওসমান গনিকে। ওইসময় একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে আটক করে খেলার অনুষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন চালায়।
সোমবার একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভিকটিম মো. ওসমান গনি। তিনি বিএনপির সরফভাটা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক।
আরও জানা যায়, চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আঘাতের একপর্যায়ে অজ্ঞান ভিকটিম ওসমানকে ফেলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
অভিযোগ রয়েছে, ওসমান গনিকে স্টেজ থেকে তুলে নেয়ার ঘটনা মূলহোতা সন্ত্রাসী ইসমাইল। ১৭ বছর আগে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ছিলেন এই ইসমাইল। সেসময় নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। হত্যা মামলাসহ চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, চুরি-ডাকাতির নানা অভিযোগে অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে একবার গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন তিনি।
জামিনে মুক্তি পেয়ে ১/১১ সরকারের আমলে আবুধাবিতে চলে যান ইসমাইল। সেখানে গিয়ে ফেনীর শীর্ষ সন্ত্রাসী নিজাম হাজারীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন ইসমাইল। তার কাছ থেকে নেন প্রশিক্ষণ। দেশে এসে একটি বাহিনী গড়ে তোলেন, নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইসমাইল বাহিনী’।
গত ১৬ আগস্টের পর দেশে এসেই আবারও চাঁদাবাজি, অপহরণ, ভূমিদস্যুতার ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করলেও স্থানীয় বিএনপি ও প্রশাসন নীরব ভূমিকায় রয়েছেন।
থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগে ইসমাইল হোসেনসহ মোট সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়। ইসমাইল হোসেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পশ্চিম সরফভাটা ইউনিয়নের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি আবুধাবি বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগের বিবরণে বলা হয়, ১৮ জানুয়ারি সরফভাটা ইউনিয়নের ভূমিরখীল খেলার মাঠে কর্ণফুলী ফুটবল একাদশ টুর্নামেন্ট কর্তৃক আয়োজিত ফুটবল ফাইনাল খেলার প্রধান আলোচক ছিলেন মো. ওসমান গনি।
ওইদিন বিকেলে ২০ জনের একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যান ওসমানকে। একটি নির্জন বাগানে নিয়ে যাওয়া হয়। ওইসময় কাঁধে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতনের একপর্যায়ে আমি অজ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওসমান। জ্ঞান ফেরার দুইঘন্টা পর আশেপাশে কাউকে দেখতে না পেয়ে বাসায় চলে আসেন তিনি। ওইদিন রাত দশটার দিকে বিএনপির নেতা আবছার সহযোগিতায় চিকিৎসা নেন ভিকটিম ওসমান।
এদিকে ওইদিন ফুটবল ফাইনাল খেলার স্টেজ থেকে তুলে নেয়ার সময় রাঙ্গুনিয়ার উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, সদস্য সচিব আবু আহমেদ হাসনাত, সরফভাটা ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২০০২ সালে বিএনপি কর্মি ভোলাসহ দুই খুনের মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন ইসমাইল হোসেন। ২০০৪ সালে তিনি অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন। এ মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন তিনি। জামিনে মুক্তির পর ১/১১ সময়ে দুবাই চলে যান। সেখানে গিয়ে ফেনীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন ইসমাইল। তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে ফ্রেমবন্দিও হয়েছেন ইসমাইল। তার এসব ছবিগুলো প্রতিবেদক সংগ্রহ করেছেন।
জানতে চাইলে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার অফিস ইনচার্জ (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, ‘ওসমান গনিকে স্টেজ থেকে তুলে নেয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এমএস
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় চাঁদা না দেয়ায় একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের স্টেজ থেকে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় বিএনপি নেতা ও খেলার আয়োজক প্রকৌশলী ওসমান গনিকে। ওইসময় একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে আটক করে খেলার অনুষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন চালায়।
সোমবার একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভিকটিম মো. ওসমান গনি। তিনি বিএনপির সরফভাটা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক।
আরও জানা যায়, চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আঘাতের একপর্যায়ে অজ্ঞান ভিকটিম ওসমানকে ফেলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
অভিযোগ রয়েছে, ওসমান গনিকে স্টেজ থেকে তুলে নেয়ার ঘটনা মূলহোতা সন্ত্রাসী ইসমাইল। ১৭ বছর আগে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ছিলেন এই ইসমাইল। সেসময় নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। হত্যা মামলাসহ চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, চুরি-ডাকাতির নানা অভিযোগে অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে একবার গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন তিনি।
জামিনে মুক্তি পেয়ে ১/১১ সরকারের আমলে আবুধাবিতে চলে যান ইসমাইল। সেখানে গিয়ে ফেনীর শীর্ষ সন্ত্রাসী নিজাম হাজারীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন ইসমাইল। তার কাছ থেকে নেন প্রশিক্ষণ। দেশে এসে একটি বাহিনী গড়ে তোলেন, নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইসমাইল বাহিনী’।
গত ১৬ আগস্টের পর দেশে এসেই আবারও চাঁদাবাজি, অপহরণ, ভূমিদস্যুতার ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করলেও স্থানীয় বিএনপি ও প্রশাসন নীরব ভূমিকায় রয়েছেন।
থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগে ইসমাইল হোসেনসহ মোট সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়। ইসমাইল হোসেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পশ্চিম সরফভাটা ইউনিয়নের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি আবুধাবি বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগের বিবরণে বলা হয়, ১৮ জানুয়ারি সরফভাটা ইউনিয়নের ভূমিরখীল খেলার মাঠে কর্ণফুলী ফুটবল একাদশ টুর্নামেন্ট কর্তৃক আয়োজিত ফুটবল ফাইনাল খেলার প্রধান আলোচক ছিলেন মো. ওসমান গনি।
ওইদিন বিকেলে ২০ জনের একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যান ওসমানকে। একটি নির্জন বাগানে নিয়ে যাওয়া হয়। ওইসময় কাঁধে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতনের একপর্যায়ে আমি অজ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওসমান। জ্ঞান ফেরার দুইঘন্টা পর আশেপাশে কাউকে দেখতে না পেয়ে বাসায় চলে আসেন তিনি। ওইদিন রাত দশটার দিকে বিএনপির নেতা আবছার সহযোগিতায় চিকিৎসা নেন ভিকটিম ওসমান।
এদিকে ওইদিন ফুটবল ফাইনাল খেলার স্টেজ থেকে তুলে নেয়ার সময় রাঙ্গুনিয়ার উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, সদস্য সচিব আবু আহমেদ হাসনাত, সরফভাটা ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২০০২ সালে বিএনপি কর্মি ভোলাসহ দুই খুনের মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন ইসমাইল হোসেন। ২০০৪ সালে তিনি অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন। এ মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন তিনি। জামিনে মুক্তির পর ১/১১ সময়ে দুবাই চলে যান। সেখানে গিয়ে ফেনীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন ইসমাইল। তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে ফ্রেমবন্দিও হয়েছেন ইসমাইল। তার এসব ছবিগুলো প্রতিবেদক সংগ্রহ করেছেন।
জানতে চাইলে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার অফিস ইনচার্জ (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, ‘ওসমান গনিকে স্টেজ থেকে তুলে নেয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এমএস
কক্সবাজারে গভীর সমুদ্রে পাচারের মুহূর্তে ২৯ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন। এ সময় তিন মানবপাচারকারিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার মেরিন ড্রাইভের রাজারছড়া এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১ মিনিট আগেএ সময় অসাবধানতাবশত তার শরীরে সার্ভিস তার স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
১১ মিনিট আগেবুধবার ভোর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ওই এলাকার বারকোনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
২৩ মিনিট আগেমঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
৩০ মিনিট আগে