কুমিল্লার দেবিদ্বারে নাজমুল হাসান নামে এক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা পরিচয়ে কোর্ট হাজতে প্রেরণের অভিযোগ উঠেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিছেন স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
আটক নাজমুল হাসান দেবিদ্বার পৌর এলাকার ইকরা নগরীর প্রবাসী জালল মিয়ার পুত্র ও কুমিল্লা সিসিএন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
জানাযায়, গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেবিদ্বার পৌর সদরে শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে অংশ নেয় নাজমুল হাসান। অথচ গত ১৩ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকালে তার পিতার মুদিখানার দোকান থেকে আটক করে দেবিদ্বার থানার এসআই অজয় চক্রবর্তী। পরদিন ১৪ ডিসেম্বর (রোববার) নাজমুল হাসানকে একটি নাশকতার মামলায় কুমিল্লা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করলে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধি এবং এলাকাবাসী।
এদিকে দেবিদ্বার থানার নবাগত ওসি বলছেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে নাজমুল হাসান সেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত। নাজমুল হাসান সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য এমন প্রমাণ আছে কি না তা জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ও উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নাজমুল হাসান বলেন, নাজমুল আমাদের সাথে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অংশ নেন। কিন্তু পুলিশ নির্দোশ একটি ছেলের জীবন ধংস করে দিলো। অথচ আওয়ামী লীগের কুমিল্লা উত্তর জেলা ও উপজেলার অনেক পদধারী নেতা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।
থানার এসআই অজয় চক্রবর্তী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার সকল প্রকার তথ্য যাচাই-বাছাই তাকে আটক করেছি। তবে সেচ্ছাসবকলীগের কমিটির কোনো কাগজপত্র আমাদের কাছে নেই।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার ওসি সারোয়ার হোসেন বলেন, নাজমুল হাসান নামে এক যুবককে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার কোর্টের মাধ্যমে হাজতে প্রেরণ করি। তবে সে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এমন কমিটির কোনো প্রমাণ আমার কাছে নেই।

