মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৭: ০০

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর একাত্তর টিভি ও মেঘনা গ্রুপের কব্জায় থাকা সব অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামের সাংবাদিক ও পেশাজীবী নেতারা। এসময় পতিত ফ্যাসিবাদ সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে মেঘনা গ্রুপের পাচার করা সব টাকা ফিরিয়ে আনার দাবিও জানান। একইসঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন চট্টগ্রামের এই পেশাজীবী নেতারা।

শনিবার দুপুর বারটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করে দৈনিক আমারদেশ পাঠক মেলা।

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলর সদস্য এডভোকেট এএসএম বদরুল আনোয়ার, ‘৫ আগস্টের পর মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হবে এটি কল্পনাতীত। আমরা উদ্বিগ্ন ও লজ্জিত। মাহমুদুর রহমান সংবাদপত্রের স্বাধীনতার একজন মূর্ত প্রতীক। তাঁর বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদ আমলে ৬৪টি জেলা একযোগে মামলা করা হয়েছিল। ওনি সেই সাংবাদিক। মামলার জামিনের জন্য প্রতিটি জেলায় জেলায় ঘুরতেন। সেখানে তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছিল।

প্রেস ক্লাবে সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি বলেন, ‘মাত্র দুমাসের আন্দোলনে ২৪ শের স্বাধীনতা আসেনি। ২০১৪ সাল থেকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার জন্য এই বিপ্লবের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন মাহমুদুর রহমান। শেখ হাসিনা সরকার পতন ও তার পলায়নের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করেছেন মাহমুদুর রহমান একজন সর্বকালের যোদ্ধা। অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানায়।

সাবেক চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, ‘মামলা যে কেউ করতে পারে। মামলা করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি নিয়ম রয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার করার ক্ষেত্রে একটি প্রসিডিউর মানতে হয়। তাদের একটি সংস্থা রয়েছে। এ ধরনের নিয়ম না মেনে মামলা দায়ের করা আইনগতভাবে এই অচল মামলা। এটি চলতে পারেনা। এটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।’

সাংবাদিক শাহনেওয়াজ বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান সারা বাংলাদেশের সাহসী সাংবাদিকের একজন ‘আইকন’। তাঁর বিরুদ্ধে কথিত মামলা দায়েরের মাধ্যমে যে নীল নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে সেটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট জিয়া আহসান হাবীব, এডভোকেট কাশেম কামাল, সালেহ নোমান, প্রকৌশলী দুলাল হোসেন প্রমুখ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত