চট্টগ্রামে লোহা ডিপোতে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪: ৩৮
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী সাগরিকা রোড এলাকায় একটি লোহা প্রক্রিয়াজাতকরণ ডিপোতে হাইড্রোলিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে দগ্ধ হয়েছেন অন্তত আটজন শ্রমিক ও কর্মচারী। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা দগ্ধ অবস্থায় আটজনকে উদ্ধার করে রাত পৌনে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁদের বার্ন ইউনিটের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন।

বিজ্ঞাপন

চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্র জানায়, দগ্ধ ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আগুনে পোড়ার চিহ্ন রয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। প্রত্যেকেরই চিকিৎসা চলছে।

দগ্ধ ব্যক্তিদের নাম–পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—মৃত সিরাজুল হকের ছেলে মো. আবদুল কাদের (৬০)। তিনি ঘটনাস্থলের কাছাকাছিই বসবাস করতেন এবং নিয়মিতভাবে ডিপোতে কাজ করতেন। দ্বিতীয়জন, মৃত সবির আহমদের ছেলে মো. আবুল কাসেম (৬০)। তাঁরাও স্থানীয়ভাবে এই শিল্প কারখানার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তৃতীয়জন হলেন রফিকের ছেলে ও ডিপোর প্রধান ঠিকাদার মো. করিম (২৯)। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিলার থান-চৌদ্দগ্রামে। তিনি বিস্ফোরণের সময় ডিপোতেই উপস্থিত ছিলেন। চতুর্থ ব্যক্তি কফিল উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আবদুল জলিল (৫৫)। তিনি চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানার ফল্যাহতলী এলাকার বাসিন্দা এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এলাকায় বসবাস করেন।

পঞ্চম ব্যক্তি ডেমসের আলী খানের ছেলে আবুল বশর খান (৬০)। তাঁর বাড়ি আকবরশাহ্ থানার হাজীঘোনা এলাকায়, ওয়ার্ড নম্বর–৯ এ।

ছয় নম্বরে রয়েছেন তাঁরই ছেলে জামাল হোসেন (৩৮)। বাবা-ছেলে দুজনই ডিপোর নিয়মিত কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সাত নম্বরে আছেন মো. আবদুল সামাদের ছেলে মো. রাসেল (২৮)। তিনিও বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং দগ্ধ হন। অষ্টম ব্যক্তি হলেন নজির আহম্মদের ছেলে মো. বাহার উদ্দিন (৪৫)। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার ধন্যপুর গ্রামে। তিনি সাময়িকভাবে চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন এবং ডিপোর একটি প্রকল্পে কাজ করছিলেন।

দগ্ধদের একজনের স্বজন জানান, তাঁরা প্রতিদিনের মতো ডিপোতে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অনেকে দগ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

পাহাড়তলী থানা-পুলিশ বিস্ফোরণের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হাইড্রোলিক প্রেসার লাইন বা মেশিন থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। তবে তদন্ত ছাড়া নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।

ডিপো কর্তৃপক্ষের কেউ এখনো গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে শ্রমিকদের অভিযোগ, ওই লোহা ডিপোতে নিয়মিতভাবে পুরোনো যন্ত্রাংশ ও লোহা গলানোর কাজ চলত। অনেক সময় নিরাপত্তাবিধি মানা হতো না বলেও দাবি তাঁদের।

চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আহতদের চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তরের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

মাওলানা মুহিবুল্লাহ মাদানি নিখোঁজ, সন্দেহের তীর ইসকনের দিকে

সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন তালুকদারের মৃত্যুতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের শোক

রাবাদার রেকর্ডে স্বস্তিতে প্রোটিয়ারা

যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে খামেনির উপহাস

হোয়াইট হাউসে বলরুম নিয়ে রহস্য, নির্মাণে টাকা দিচ্ছে কারা

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত