বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, বে টার্মিনালের কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে, লালদিয়ার চর টার্মিনালের কাজও শুরু হবে, নিউমোরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) তা নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোনো একটি টার্মিনালে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি।
গতকাল রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের সিপিআর গেটে ভেহিক্যাল ও কন্টেইনার ডিজিটাল ডাটা এক্সেঞ্জ সিস্টেমের উদ্বোধন ও বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, আগে বলা হতো বেসরকারি টার্মিনাল অপারেটরই ভালো কাজ করছে। তার কাছ থেকে এনসিটি বুঝে নিয়ে চট্টগ্রাম ড্রাইডককে দেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে আগের অপারেটর থেকে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে। ড্রাইডক যদি আরো ভালো করতে পারে তাহলে ড্রাইডকই এই টার্মিনাল পরিচালনা করতে পারে।
আর যদি মনে হয় গ্লোবাল অপারেটর এলে আরো ভালো হবে তাহলে সেটাও বিবেচনা করবে সরকার।
তিনি আরো বলেন, আগামী নতুন সরকারে স্থিতিশীলতা আসতে একটু সময় লাগবে। এই সময়ে যাতে কোনো কাজ থেমে না থাকে সেই বিষয়টি মাথায় নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে বন্দরকে নিয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে।
কারণ বাংলাদেশের এই বিপুল জনশক্তি সম্পদে পরিণত করতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এখন ৩০ শতাংশ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাহাজের টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম কমেছে অন্তত ১৩ শতাংশ। যা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক বার্তা।
বিদেশি বিনিয়োগকারী ও দেশীয় রপ্তানিকারকরা এখনো অভিযোগ করেন ভিয়েতনাম থেকে আমাদের বন্দরের কার্যক্রম সম্পন্ন হতে কয়েকগুণ বেশি সময় লাগে। অদূর ভবিষ্যতে ভিয়েতনাম বলবে তাদের থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে সময় কম লাগছে। এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামানসহ বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।

