জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী
২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যার রেশ না কাটতেই গত পাঁচ দিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতে আবারো জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে নোয়াখালীর অধিকাংশ এলাকা। এতে জেলার দু’লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশী ক্ষতির মুখে পড়েছেন হয়েছেন কৃষকরা। এই জলাবদ্ধতার জন্য খাল দখল ও ভরাট করে সমতল জমিন, বাগান ও বাড়ি তৈরি, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, খালে পানির গতিরোধ করে বাঁধ ও ছোট ছোট কালভার্ট নির্মাণকে দায়ী করছেন স্থানীয় জনগণ।
শনিবার (১২ জুলাই) কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের রিকশাওয়ালার বাঁধ পরিদর্শন করেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলোসহ বিএনপি নেতারা।
এ সময় স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও কৃষিজীবী মানুষের সাথে কথা বলেন তারা। বাঁধের কারণে সৃষ্ট পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ দূরীকরণে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বিগত সরকারের সময়ে ভূমিদস্যুদের দখলকরা অবৈধ ঘেরগুলো উচ্ছেদের আহ্বান জানান।
পরিদর্শন দলের অন্যতম সদস্য জেলা বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু আমার দেশকে বলেন, অবিলম্বে খালগুলোর অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে ও খনন করে জলাবদ্ধতা আর জনভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে হবে।
এ দিন নোয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সদর উপজেলা কৃষকদল সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাবেক ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও স্থানীয় ভুক্তভোগী দু’শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সদর উপজেলার সোনাপুর-মান্নান নগর-চরজব্বর খালের নোয়াখালী ইউনিয়নের অংশ ডাক্তার বাজার, মান্নান নগর, খলিল মিয়ার দরজা এলাকা, কালিতারা বাজার থেকে সাহেবের হাট খাল, নোয়াখালী মৌজার শাখা খাল, ঠক্কর-খলিলপুর-মুরাদপুর ও মতিপুর এলাকার খালগুলোর বেশিরভাগ জায়গায় বিগত সময়ে ক্ষমতার দাপটে ক্ষমতাসীনদের সহযোগিতায় অসাধু ব্যক্তিগণ দখল করে বাড়িঘর, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণসহ খালের মধ্যে ছোট ছোট বাঁধ ও কালভার্ট নির্মাণ করে। যার ফলে পানির স্বাভাবিক গতিরোধ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পুরো এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। যার কারণে কৃষি জমির সবজি, আউশ ধান ও আমন ধানের বীজতলা ডুবে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
বক্তারা বলেন, গেল বছর ভয়াবহ বন্যার পর খালের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের একাধিকবার প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। যার কারণে মাত্র কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সব ধ্বংস হয়ে গেছে সব। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারিভাবে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে পানির গতিরোধ হওয়া বিভিন্ন খাল পরিষ্কার করেন ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং ভুক্তভোগী কৃষকরা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াছিন আরাফাত বলেন, খাল খনন কিংবা সংস্কারে সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি। ইউনিয়নের ডাক্তার বাজার, মান্নান নগর-কেরামত নগর খাল, কালিতারা-সাহেবের হাট খাল, নোয়াখালী মৌজার শাখা খাল, ঠক্কর-খলিলপুর-মুরাদপুর ও মতিপুর এলাকার খালগুলোর বেশিরভাগ জায়গায় দখল করে অবৈধ স্থাপনা ও ছোট ছোট বাঁধ, কালভার্ট নির্মাণ করায় পানি নামতে পারছে না। ফলে এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
দুপুরে জেলা সদর উপজেলার ডাক্তার বাজারে নোয়াখালী ইউনিয়নে খাল দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বাঁধ কেটে পানির গতি স্বাভাবিক করে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধানের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যার রেশ না কাটতেই গত পাঁচ দিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতে আবারো জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে নোয়াখালীর অধিকাংশ এলাকা। এতে জেলার দু’লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশী ক্ষতির মুখে পড়েছেন হয়েছেন কৃষকরা। এই জলাবদ্ধতার জন্য খাল দখল ও ভরাট করে সমতল জমিন, বাগান ও বাড়ি তৈরি, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, খালে পানির গতিরোধ করে বাঁধ ও ছোট ছোট কালভার্ট নির্মাণকে দায়ী করছেন স্থানীয় জনগণ।
শনিবার (১২ জুলাই) কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের রিকশাওয়ালার বাঁধ পরিদর্শন করেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলোসহ বিএনপি নেতারা।
এ সময় স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও কৃষিজীবী মানুষের সাথে কথা বলেন তারা। বাঁধের কারণে সৃষ্ট পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ দূরীকরণে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বিগত সরকারের সময়ে ভূমিদস্যুদের দখলকরা অবৈধ ঘেরগুলো উচ্ছেদের আহ্বান জানান।
পরিদর্শন দলের অন্যতম সদস্য জেলা বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু আমার দেশকে বলেন, অবিলম্বে খালগুলোর অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে ও খনন করে জলাবদ্ধতা আর জনভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে হবে।
এ দিন নোয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সদর উপজেলা কৃষকদল সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাবেক ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও স্থানীয় ভুক্তভোগী দু’শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সদর উপজেলার সোনাপুর-মান্নান নগর-চরজব্বর খালের নোয়াখালী ইউনিয়নের অংশ ডাক্তার বাজার, মান্নান নগর, খলিল মিয়ার দরজা এলাকা, কালিতারা বাজার থেকে সাহেবের হাট খাল, নোয়াখালী মৌজার শাখা খাল, ঠক্কর-খলিলপুর-মুরাদপুর ও মতিপুর এলাকার খালগুলোর বেশিরভাগ জায়গায় বিগত সময়ে ক্ষমতার দাপটে ক্ষমতাসীনদের সহযোগিতায় অসাধু ব্যক্তিগণ দখল করে বাড়িঘর, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণসহ খালের মধ্যে ছোট ছোট বাঁধ ও কালভার্ট নির্মাণ করে। যার ফলে পানির স্বাভাবিক গতিরোধ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পুরো এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। যার কারণে কৃষি জমির সবজি, আউশ ধান ও আমন ধানের বীজতলা ডুবে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
বক্তারা বলেন, গেল বছর ভয়াবহ বন্যার পর খালের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের একাধিকবার প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। যার কারণে মাত্র কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সব ধ্বংস হয়ে গেছে সব। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারিভাবে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে পানির গতিরোধ হওয়া বিভিন্ন খাল পরিষ্কার করেন ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং ভুক্তভোগী কৃষকরা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াছিন আরাফাত বলেন, খাল খনন কিংবা সংস্কারে সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি। ইউনিয়নের ডাক্তার বাজার, মান্নান নগর-কেরামত নগর খাল, কালিতারা-সাহেবের হাট খাল, নোয়াখালী মৌজার শাখা খাল, ঠক্কর-খলিলপুর-মুরাদপুর ও মতিপুর এলাকার খালগুলোর বেশিরভাগ জায়গায় দখল করে অবৈধ স্থাপনা ও ছোট ছোট বাঁধ, কালভার্ট নির্মাণ করায় পানি নামতে পারছে না। ফলে এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
দুপুরে জেলা সদর উপজেলার ডাক্তার বাজারে নোয়াখালী ইউনিয়নে খাল দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বাঁধ কেটে পানির গতি স্বাভাবিক করে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধানের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
১ ঘণ্টা আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগেসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে তা জানার পরই সাথে সাথে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে