
উপজেলা প্রতিনিধি, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর)

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে স্বামীর অধিকার আদায়ে প্রবাসীর বাড়িতে ২৫ দিন অনশন করছেন এক নারী। রুনা বেগম নামের ওই নারী উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের উত্তর পূর্ব রাজারগাঁও গ্রামের আলাউদ্দিন মিজি বাড়ির মমিন মিজির বসতঘরের সামনে অনশনরত আছেন।
ওমান প্রবাসী মমিন মিজি (৫১) ওই বাড়ির মৃত আলাউদ্দিন মিজির ছেলে। অনশনে বসা নারী রুনা বেগম (৪৭) শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার উত্তর কেবলনগর গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত কোরমান শেখের মেয়ে।
সরেজমিনে গেলে ওই নারী জানান, তিনি অবিবাহিত থাকা অবস্থায় গৃহপরিচারিকার কাজে ওমানে গিয়েছেন। সেখানে মমিন মিজির সাথে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মমিন মিজি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। পরে তাদের মাঝে সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস করেন।
পরবর্তীতে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং তাকে মমিন মিজির বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য চাপ-সৃষ্টি করেন। কিন্তু মমিন মিজি তাকে ফুসলিয়ে ও বিভিন্ন কৌশলে সময় পার করে দেন। তিনি ছুটিতে এসে গত ৭/৮ বছর ধরে শরিয়তপুর গিয়ে রুনা বেগমের বাড়িতে বেড়াতেন।
রুনা বেগম আরো জানান, মমিন মিজির বাড়িতে আসার খবর পেয়ে তিনি গত ২৪ দিন পূর্বে হাজীগঞ্জে চলে আসেন। এরপর থেকে তিনি স্বামীর অধিকারে এবং স্ত্রীর দাবিতে ওই বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এক পর্যায়ে মমিন মিজি তাকে বিভিন্নভাবে আশা-ভরসা দিয়ে রাখেন। পরে তিনি গোপনে গত ৩ জুন আবারো ওমানে চলে যান।
তিনি বলেন, আমি ওমানে থাকাবস্থায় যত টাকা আয় করেছি, সব আয় আমি আমার স্বামীর (মমিন মিজি) হাতে তুলে দিয়েছি। সবশেষ তিনি বাড়িতে বিল্ডিং (পাকাভবন) নির্মাণ করবেন বলে আমার কাছ থেকে নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়েছেন। এখন আমি সহায়-সম্বলহীন।
এদিকে মমিন মিজির ভাই মফিজ মিজি সংবাদকর্মীদের বলেন, তিনি (রুনা বেগম) টাকা-পয়সার জন্য এমন করছেন। টাকা-পয়সা দিলে তিনি চলে যাবেন।
বিষয়টি অস্বীকার করে রুনা বেগম বলেন, টাকা-পয়সার লোভ থাকলে আমি ওমানে আয় করে ওনার (মমিন মিজি) হাতে তুলে দিতাম না। সুতরাং আমি স্ত্রীর অধিকার নিয়ে আমৃত্যু এ বাড়িতে থাকতে চাই। এ বাড়ি থেকে বের হলে আমার লাশ বের হবে।
এদিকে রাজারগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান জানান, ওই নারীর অনশনের বিষয়টি আমি ঈদের (ঈদুল আযহা) আগে জেনেছি। এখন আবার বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে আপনাদেরকে (সংবাদকর্মী) জানাতে পারবো।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে স্বামীর অধিকার আদায়ে প্রবাসীর বাড়িতে ২৫ দিন অনশন করছেন এক নারী। রুনা বেগম নামের ওই নারী উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের উত্তর পূর্ব রাজারগাঁও গ্রামের আলাউদ্দিন মিজি বাড়ির মমিন মিজির বসতঘরের সামনে অনশনরত আছেন।
ওমান প্রবাসী মমিন মিজি (৫১) ওই বাড়ির মৃত আলাউদ্দিন মিজির ছেলে। অনশনে বসা নারী রুনা বেগম (৪৭) শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার উত্তর কেবলনগর গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত কোরমান শেখের মেয়ে।
সরেজমিনে গেলে ওই নারী জানান, তিনি অবিবাহিত থাকা অবস্থায় গৃহপরিচারিকার কাজে ওমানে গিয়েছেন। সেখানে মমিন মিজির সাথে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মমিন মিজি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। পরে তাদের মাঝে সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস করেন।
পরবর্তীতে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং তাকে মমিন মিজির বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য চাপ-সৃষ্টি করেন। কিন্তু মমিন মিজি তাকে ফুসলিয়ে ও বিভিন্ন কৌশলে সময় পার করে দেন। তিনি ছুটিতে এসে গত ৭/৮ বছর ধরে শরিয়তপুর গিয়ে রুনা বেগমের বাড়িতে বেড়াতেন।
রুনা বেগম আরো জানান, মমিন মিজির বাড়িতে আসার খবর পেয়ে তিনি গত ২৪ দিন পূর্বে হাজীগঞ্জে চলে আসেন। এরপর থেকে তিনি স্বামীর অধিকারে এবং স্ত্রীর দাবিতে ওই বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এক পর্যায়ে মমিন মিজি তাকে বিভিন্নভাবে আশা-ভরসা দিয়ে রাখেন। পরে তিনি গোপনে গত ৩ জুন আবারো ওমানে চলে যান।
তিনি বলেন, আমি ওমানে থাকাবস্থায় যত টাকা আয় করেছি, সব আয় আমি আমার স্বামীর (মমিন মিজি) হাতে তুলে দিয়েছি। সবশেষ তিনি বাড়িতে বিল্ডিং (পাকাভবন) নির্মাণ করবেন বলে আমার কাছ থেকে নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়েছেন। এখন আমি সহায়-সম্বলহীন।
এদিকে মমিন মিজির ভাই মফিজ মিজি সংবাদকর্মীদের বলেন, তিনি (রুনা বেগম) টাকা-পয়সার জন্য এমন করছেন। টাকা-পয়সা দিলে তিনি চলে যাবেন।
বিষয়টি অস্বীকার করে রুনা বেগম বলেন, টাকা-পয়সার লোভ থাকলে আমি ওমানে আয় করে ওনার (মমিন মিজি) হাতে তুলে দিতাম না। সুতরাং আমি স্ত্রীর অধিকার নিয়ে আমৃত্যু এ বাড়িতে থাকতে চাই। এ বাড়ি থেকে বের হলে আমার লাশ বের হবে।
এদিকে রাজারগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান জানান, ওই নারীর অনশনের বিষয়টি আমি ঈদের (ঈদুল আযহা) আগে জেনেছি। এখন আবার বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে আপনাদেরকে (সংবাদকর্মী) জানাতে পারবো।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল লতিফ শাহ’র নির্দেশে এসআই মো. রমজান আলী ও এসআই মো. মনিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন। পরে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
১৯ মিনিট আগে
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলা সহ বেশ কিছু মামলা থাকায় গত এক বছর যাবৎ সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কোন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন না। দীর্ঘদিন তিনি পলাতক থাকায় দিন দিন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হতে থাকেন এলাকার লোকজন।
৩৪ মিনিট আগে
আমার সম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মনগড়া, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মিথ্যা সংবাদটি প্রচার করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
বৃত্তিকে ছোট জিনিস মনে করা হলেও ভবিষ্যতের জন্য এর ব্যাপকতা ও বিশালতা অনেক বড়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আরো উন্নতি করবে এবং সফল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অনুপ্রাণিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে