জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মামলার তালিকা দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। ওই নেতার বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী চায়ের দোকানদার আতাউর রহমান।
অভিযুক্ত আমিনুল উপজেলা বিএনপির সহ তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক এবং উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। তিনি একটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকও। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে।
গত বুধবার রাতে থানায় করা আতাউর রহমান অভিযোগে লিখেন, আমার শরীফপুর গ্রামের শেরআলী মার্কেটে চা কফির দোকান রয়েছে। এই দোকান পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করি। অভিযুক্ত আমিনুল মাস্টার আমার এলাকার পূর্ব পরিচিত। তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ এলাকায় নিরীহ লোকজনদের উপর অন্যায় অত্যাচার করে আসছেন।
তিনি ১৩ জুন স্থানীয় সাদ্দাম হোসেন ও ইয়াকুব আলীকে পেয়ে জানান, তাদেরসহ আমার বিরুদ্ধে থানায় লিস্ট করা হইছে। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। আমরা নাকি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। তখন আমরা জানায় যে, আমরা আমাদের কর্ম নিয়ে ব্যস্থ থাকি। রাজনীতি করার সময় কই। তখন আমিনুল মাস্টার জানায় যে, লিস্ট হইয়া গেছে বাঁচার কোনো উপায় নাই। বাঁচার একমাত্র উপায় হল তাকে প্রত্যেকে ৩০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। টাকা দিলে লিস্ট থেকে নাম কেটে দিবে। তখন আমরা জানায় যে, আমরা সাধারণভাবে জীবনযাপন করি। আমরা এতো টাকা পাব কই। তখন আমিনুল মাস্টার জানায় যে, টাকা না দিলে মামলা হবে আমাদের নামে। এর কিছু দিন পর তিনি পুনরায় আমাদের কাছে এসে টাকা দাবি করেন। তখন আমরা টাকা দিতে অস্বীকার করলে সে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকিধামকি প্রদান করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত আমিনুল মাস্টারের এই সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই রেকর্ডে অভিযুক্ত আমিনুল মাস্টার বলেন, আমিতো সরল মনে উপকার করতে গেছিলাম। কারো কাছ থেকে টাকা নেয়নি। কারা যে এগুলো ছড়াইলো! দারোগা তালিকা নিয়া আসার পর আমি জানাইছি নামটা কাটিয়ে ফেলতে। আমি সাদ্দামকে বলছিলাম তোমার নাম কাটাতে চাইলে এমন সুযোগ আছে।
এই বিষয়ে অভিযোগের সাক্ষী সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমিনুল মাস্টার আমার হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পাঠিয়ে বলেন যোগাযোগ করতে। পরে তার সাথে যোগাযোগ করলে জানান থানায় তিনটি মামলার তালিকা হয়েছে আমাদের নামসহ। যদি টাকা পয়সা দেও তাহলে তোমাদের নাম কাটানো যাবে। তখন আমি প্রতিবাদ করে বলি কেন আমাদের নামে মামলা হবে, তিনি বলেন তা জানেন না। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি গ্রামের অনেককেই এমন তিনি বলেছেন। তিনি গ্রামের ২০/৩০ জনকে বলেছেন টাকা দিলে নাম কাটিয়ে দিবেন। কয়েকজন টাকা ইতিমধ্যে দিয়েও দিয়েছেন।
এই অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা আমিনুল মাস্টার বলেন, আমি শিক্ষক ও সৎ মানুষ। আমার প্রতিপক্ষ আমাকে ঘায়েল করার জন্যে আমি যেন পদ না পাই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মিলে এসব করছে। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেকর্ড দিয়ে তারা আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে। কন্ঠ আমার হতে পারে। কোনো সময় করলো সেটা আমি জানি না। আপনি আমার সাথে দেখা কইরেন।
এই বিষয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিল্লাল হোসেন বলেন, আমিনুল মাস্টারের বিরুদ্ধে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মামলার তালিকা দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। ওই নেতার বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী চায়ের দোকানদার আতাউর রহমান।
অভিযুক্ত আমিনুল উপজেলা বিএনপির সহ তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক এবং উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। তিনি একটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকও। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে।
গত বুধবার রাতে থানায় করা আতাউর রহমান অভিযোগে লিখেন, আমার শরীফপুর গ্রামের শেরআলী মার্কেটে চা কফির দোকান রয়েছে। এই দোকান পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করি। অভিযুক্ত আমিনুল মাস্টার আমার এলাকার পূর্ব পরিচিত। তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ এলাকায় নিরীহ লোকজনদের উপর অন্যায় অত্যাচার করে আসছেন।
তিনি ১৩ জুন স্থানীয় সাদ্দাম হোসেন ও ইয়াকুব আলীকে পেয়ে জানান, তাদেরসহ আমার বিরুদ্ধে থানায় লিস্ট করা হইছে। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। আমরা নাকি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। তখন আমরা জানায় যে, আমরা আমাদের কর্ম নিয়ে ব্যস্থ থাকি। রাজনীতি করার সময় কই। তখন আমিনুল মাস্টার জানায় যে, লিস্ট হইয়া গেছে বাঁচার কোনো উপায় নাই। বাঁচার একমাত্র উপায় হল তাকে প্রত্যেকে ৩০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। টাকা দিলে লিস্ট থেকে নাম কেটে দিবে। তখন আমরা জানায় যে, আমরা সাধারণভাবে জীবনযাপন করি। আমরা এতো টাকা পাব কই। তখন আমিনুল মাস্টার জানায় যে, টাকা না দিলে মামলা হবে আমাদের নামে। এর কিছু দিন পর তিনি পুনরায় আমাদের কাছে এসে টাকা দাবি করেন। তখন আমরা টাকা দিতে অস্বীকার করলে সে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকিধামকি প্রদান করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত আমিনুল মাস্টারের এই সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই রেকর্ডে অভিযুক্ত আমিনুল মাস্টার বলেন, আমিতো সরল মনে উপকার করতে গেছিলাম। কারো কাছ থেকে টাকা নেয়নি। কারা যে এগুলো ছড়াইলো! দারোগা তালিকা নিয়া আসার পর আমি জানাইছি নামটা কাটিয়ে ফেলতে। আমি সাদ্দামকে বলছিলাম তোমার নাম কাটাতে চাইলে এমন সুযোগ আছে।
এই বিষয়ে অভিযোগের সাক্ষী সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমিনুল মাস্টার আমার হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পাঠিয়ে বলেন যোগাযোগ করতে। পরে তার সাথে যোগাযোগ করলে জানান থানায় তিনটি মামলার তালিকা হয়েছে আমাদের নামসহ। যদি টাকা পয়সা দেও তাহলে তোমাদের নাম কাটানো যাবে। তখন আমি প্রতিবাদ করে বলি কেন আমাদের নামে মামলা হবে, তিনি বলেন তা জানেন না। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি গ্রামের অনেককেই এমন তিনি বলেছেন। তিনি গ্রামের ২০/৩০ জনকে বলেছেন টাকা দিলে নাম কাটিয়ে দিবেন। কয়েকজন টাকা ইতিমধ্যে দিয়েও দিয়েছেন।
এই অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা আমিনুল মাস্টার বলেন, আমি শিক্ষক ও সৎ মানুষ। আমার প্রতিপক্ষ আমাকে ঘায়েল করার জন্যে আমি যেন পদ না পাই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মিলে এসব করছে। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেকর্ড দিয়ে তারা আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে। কন্ঠ আমার হতে পারে। কোনো সময় করলো সেটা আমি জানি না। আপনি আমার সাথে দেখা কইরেন।
এই বিষয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিল্লাল হোসেন বলেন, আমিনুল মাস্টারের বিরুদ্ধে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
৩১ মিনিট আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
২ ঘণ্টা আগে