যুবলীগ নেতার মামলায় ৩ শিক্ষক জেলে, মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

প্রতিনিধি, ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর)
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০: ১০

শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার দিগম্বরী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার ওই কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের শিক্ষককে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা জড়িয়ে জেলে দিয়েছে। স্যার এ প্রতিষ্ঠানের মালিক ও নাইম মাস্টারের আপনজন। তাদের অধিকার বঞ্চিত করার জন্য একটি নাটক করা হয়েছে। আমরা আমাদের স্যারদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। মুক্তি না দিলে আমরা থানার মধ্যে অনশন করবো। এর আগে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সামনের শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক অবরোধ করে। স্থানীয় ছাত্র সমন্বয়কদের অনুরোধে তারা অবরোধ তুলে নিয়ে থানার সামনে চলে যান।

বিজ্ঞাপন

আটক শিক্ষক মনোয়ার হোসেনের ভগ্নিপতি মো. বিল্লাল হোসেন জানান, ভেদরগঞ্জ থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহিষার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌকিদারের ছেলে নাইমুল ইসলাম নাইম। সে ৬ জনকে শেয়ারে নিয়ে প্রতিভা সাইন্স প্রিপারেটরী (পি.এস.পি) হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক অবস্থানে গেলে নাইম নিজ নামে সকল কাগজপত্র বানিয়ে পার্টনাদের বঞ্চিত করে। নাইম শরীয়তপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যের পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতো। গত সোমবার নিজেদের সমস্যা সমাধানের কথা বলে অন্য সদস্যদের প্রতিষ্ঠানে আসতে বলে। সেখানে নাইম উপস্থিত না হয়ে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে তাদের ধরিয়ে দেয়। থানায় নেয়ার পর নাইমের বোন মাকসুদা বেগমকে বাদী করে অবৈধ দখল ও চাঁদাবাজি মামলা করে। আজ সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আটক শিক্ষকরা হলো- মহিষার দিগম্বরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহ আলম, উপজেলা সদরের ইউনাইটেড কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মনোয়ার হোসেন ও তপু রায়হান।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম কাশেম জানান, বিচারক না থাকায় জামিনের শুনানি হয়নি। আগামীকাল জামিন শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

ভেদরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ সেলিম আহম্মেদ পারভেজ জানান, মামলার অভিযোগে ৩ শিক্ষককে আটক করেছে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত