আমার দেশ অনলাইনে ৩০ সেপ্টেম্বর সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষার্থী সুমাইয়াকে নাটোর থেকে উদ্ধার করেছে সাটুরিয়া থানা পুলিশ।
সুমাইয়া আক্তার (১৬) মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ খাসের চর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।
গত ১৫ আগস্ট সকাল ১০টায় একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তি আবেদন করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি সুমাইয়া। পরদিন তার বাবা সাটুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. রায়হান দীর্ঘদিনেও শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে ব্যর্থ হন।
এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর সাটুরিয়া ডাকবাংলোয় সংবাদ সম্মেলন করে সুমাইয়ার বাবা-মা তদন্ত কর্মকর্তাকে পরিবর্তনের দাবি জানান। এরপর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুল ইসলাম এসআই মো. আরিফ হোসেনকে দায়িত্ব দেন।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার চার দিনের মাথায় গত ৪ অক্টোবর রাতে নাটোর জেলা শহরের শাকিল খান নামে তার প্রেমিকের নানা বাড়ি থেকে সুমাইয়াকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি মো. শাহিনুল ইসলাম জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। ফেসবুকের মাধ্যমে পাবনার শংকরপুর গ্রামের শাকিল খানের (২৩) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুমাইয়ার। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে সে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শাকিল খানকে আসামি করে সাটুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।


সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ সুমাইয়ার, দারোগার বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ