শরীয়তপুরে সদর হাসপাতালের হিমঘরে প্রায় সাত মাস ধরে পড়ে থাকা ভারতীয় নাগরিক রাজন (৬৩)–এর লাশ অবশেষে সৎকার করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালে পৌরসভার মনোহরবাজার শ্মশানঘাটে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
রাজন ভারতের দিল্লি প্রদেশের দিলিপের ছেলে হলেও তার সুনির্দিষ্ট জেলা বা ঠিকানা নিশ্চিত করতে পারেনি প্রশাসন। ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা এলাকা থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে মামলা হলে আদালত ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
সাজা শেষে রাজন ‘আরপি বন্দি’ হিসেবে শরীয়তপুর কারাগারে ছিলেন। চলতি বছরের ১৮ মে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত সদর হাসপাতালে পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই তার মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে সংরক্ষিত ছিল।
দীর্ঘ সময় পার হলেও লাশ ভারতে পাঠানোর মতো প্রয়োজনীয় তথ্য–উপাত্ত না থাকায় প্রক্রিয়া জটিলতায় পড়ে যায়। এদিকে হিমঘরে লাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একাধিক দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে কারা কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের আলোচনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লাশটি বাংলাদেশেই সৎকারের সিদ্ধান্ত দেয়।
শরীয়তপুর জেল সুপার বজলুর রশিদ বলেন, রাজন আরপি বন্দি ছিলেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় লাশ ছয় মাসেরও বেশি সময় হিমঘরে রাখা ছিল। পরবর্তীতে দুই দেশের সভা–সমন্বয়ের মাধ্যমে সৎকারের সিদ্ধান্ত হয়। আমরা নিয়ম মেনে সৎকার সম্পন্ন করেছি এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়ে দেবো।

