নেপথ্যে শিশু পর্নোগ্রাফি

ইন্টারপোলের গোয়েন্দা তথ্য: হোসেন ডাইংয়ের ব্যবস্থাপক গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৫, ১৯: ১৫
আপডেট : ০২ জুন ২০২৫, ২০: ৪৭

অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের পর্নোগ্রাফি ভিডিও প্রস্তুত, সংরক্ষণ ও প্রচারের অভিযোগে হোসেন ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং মিলস লিমিটেডের আইটি বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. এখলাছ আলীকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান। গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার পাগার পাঠানপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সিআইডি সূত্র জানায়, ইন্টারপোলের ক্রাইম এগেইনস্ট চিলড্রেন ইউনিটের একটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর মাধ্যমে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) জানতে পারে। তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের একজন নাগরিক অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের পর্নোগ্রাফি ভিডিও বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে তৈরি, সংরক্ষণ ও প্রচার করে আসছিলেন। পরবর্তীতে সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম প্রযুক্তিগত সহায়তায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করে।

অভিযুক্ত মো. এখলাছ আলীর স্থায়ী ঠিকানা নাটোর জেলার লালপুর থানার কামারহাতি গ্রামে। তিনি গাজীপুরের হোসেন ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং মিলস লিমিটেডে আইটি বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের পর্নোগ্রাফিক ভিডিও সংগ্রহ করতেন এবং তা মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ ও প্রচার করতেন।

গত ১ জুন সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট টিম তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়, যার ভেতরে একাধিক শিশু পর্নোগ্রাফির ভিডিও পাওয়া যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মো. এখলাছ আলী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(৫)(ক) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত