চোরের স্বীকারোক্তি

‘দিনে চুরি করেছি, রাতেই ধরা’

টুটুল বিশ্বাস, রাজৈর (মাদারীপুর)
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৫, ১৬: ৫৮
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৫, ১৭: ৩৬

উচ্চমাধ্যমিক শেষে চাকরির আশায় ছুটে বেড়ান দিগ্বিদিক। ‘সোনার হরিণ’ পেতে টাকাও দিয়েছেন ১০ লাখ। কিন্তু সব অর্থই গেল প্রতারকের পকেটে। দিশেহারা হয়ে বেছে নেন চুরির পেশা। তাও আবার করেন দিনের বেলায়। কিন্তু রাতের আঁধারে করতে এসেই খেলেন ধরা। ধরা খাওয়ার পর এভাবেই সরল স্বীকারোক্তি দেন সোহেল।

সোহেলের সঙ্গে আটজন থাকলেও পালিয়ে যান পাঁচজন। কিন্তু তিনিসহ তিনজনকে ধরে ফেলেন স্থানীয় লোকজন। আর আটক হন পুলিশের হাতে।

বিজ্ঞাপন

ঘটনাটি মাদারীপুরের রাজৈরের। রোববার রাতে উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের শ্যামল কান্তি গাইনের গরু চুরি করতে এসে আটক হন তারা।

সোহেল রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার চৌমুহনী গ্রামের ইসমাইলের ছেলে। বাকিরা হলেন- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার মাঝিগাতী গ্রামের আবদুর রহমান খন্দকারের ছেলে মো. টুটুল ও ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কার্তিবাতাই গ্রামের মুন্নু ফকিরের ছেলে ফরহাদ।

ভুক্তভোগী শ্যামল গোপালগঞ্জের এমএইচ খান ডিগ্রি কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক। শখের বশে বছর কয়েক আগে গরুর খামার গড়ে তোলেন তিনি। কিন্তু রোববার রাতে ট্রাকে তার পাঁচটি গরু নিয়ে যায় চোরচক্র। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন স্থানে ফোনে জানান শ্যামল। এরপরই ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের টেকেরহাটে ট্রাকটি আটকে দেয় স্থানীয়রা। পরে তিনজনকে ধরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

রাজৈর থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ খান বলেন, পাঁচটি গরুসহ তিন চোরকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়। আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত