দর্শনার্থীদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মুখর সাভারের বিনোদন কেন্দ্রগুলো

নজমুল হুদা শাহীন, সাভার
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৫, ১৮: ৫১

ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে রাজধানীর কোলাহলমুক্ত পরিবেশ ছেড়ে হাজারো মানুষ ভিড় করছেন সাভারের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে। ঈদের দিন দুপুরের পর থেকে এ সকল বিনোদন কেন্দ্রে শুরু হয় দর্শনার্থীদের ভিড়। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ, ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়েও বিপাকে পড়েছেন অনেকে। তবুও ছিল না কোনো বিরক্তির ছাপ। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বৃষ্টিহীন আবহাওয়া, সুন্দর পরিবেশ ও পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তগুলো ভিড় আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ঈদ আনন্দে সাভারের বিনোদন কেন্দ্রগুলো যেন হয়ে উঠেছে উৎসবের প্রাণকেন্দ্র।

থিমপার্ক দুটিতে যেন পা ফেলার জায়গা নেই। বিনোদনপ্রেমী মানুষের ভিড়ে উৎসবে রূপ নিয়েছে পার্ক এলাকা। শুধু ফ্যান্টাসি কিংডম বা নন্দনপার্ক নয়, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, ফ্যান্টা ওয়ার্ল্ড থিমপার্ক, হভমিনি চিড়িয়াখানা, যমুনা ন্যাচারাল পার্ক, বংশাই নদীতে নৌভ্রমণ ও বিরুলিয়ার গোলাপ গ্রামেও ছিল পর্যটকদের ঢল। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সব বয়সের মানুষ যেন মেতেছিলেন আনন্দ বিনোদনে।

বিজ্ঞাপন

রাজধানী শহর ছাড়াও টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এসেছে। এবারে অনুকূল পরিবেশ থাকায় মানুষ বেড়াতে পেরেছে সন্তুষ্ট চিত্তে। প্রতিটি রাইডে উঠতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে তাদের।

ফ্যান্টাসি কিংডমে বেড়াতে আসা টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার বাসিন্দা ও করটিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তানিশা হুদা বলেন, 'সারা বছর লেখাপড়ার ব্যস্ততায় সময় পাওয়া যায় না। ঈদের এ সময়টা শুধু পরিবার আর নিজের জন্য এখানে এসে মনটা একদম ফুরফুরে লাগছে।'

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে পরিবার নিয়ে সূচনা আক্তার বাসন্তী বলেন, 'ভিড় অনেক হলেও নিরাপত্তা আর ব্যবস্থাপনা ভালো ছিল। বাচ্চারা খুবই আনন্দ করেছে।' তিনি বলেন, 'ওয়াটার কিংডমে ভিড়ের কারণে পানিতে নামতে পারিনি, তারপরও অনেক ভালো লাগছে।' কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) জামাল উদ্দিন ভুইয়া শামীম জানান, ফ্যান্টাসি কিংডমে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারির ব্যবস্থা। নন্দনপার্কেও একই অবস্থা। পার্কের সর্বত্র মানুষের পদচারণা। রাইডগুলোতে উঠতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আশুলিয়া থানার ওসি তদন্ত কামাল হোসেন জানান, বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

বিরুলিয়ার গোলাপ গ্রামে ঘুরতে আসা ঢাকার একটি কলেজের ছাত্র ওয়ালিদ খান জানান, 'গোলাপের সৌরভ আর প্রকৃতির পরিবেশে আমরা একদম হারিয়ে গিয়েছি। রাইডগুলোতে চড়তে ঘুরতে ও ছবি তুলেই সময় কেটে যাচ্ছে। এমন পরিবেশে মন বারবার ছুটে আসতে চাইছে।' সাভার সেনানিবাস এলাকায় মিনি চিড়িয়াখানায় বিনোদনপ্রেমীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত