হরিণ শিকারীদের হামলায় বন কর্মকর্তা আহত, আটক-৩

জেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ০৯

সুন্দরবনে হরিণ শিকারীদের হামলায় সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব আহত হয়েছেন। সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে পর সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ডিমেরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় তিন শিকারিকে আটক করেছে বনরক্ষী ও পুলিশ সদস্যরা।

আটককৃতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার সুগন্ধি গ্রামের রাফি হাসান (২৬), রামপাল উপজেলার সোনাতুনিয়া গ্রামের শহিদ মল্লিক (২৮) ও একই উপজেলার ঝালবাড়ি গ্রামের আল আমিন আকুঞ্জি (২৭)।

বিজ্ঞাপন

রানা দেব জানান, বন্য প্রাণি রক্ষা ও হরিণ শিকার রোধে বনরক্ষীদের সাথে নিয়ে ডিমেরচর এলাকায় বনের ভেতরে হেঁটে টহল দিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় বনের মধ্যে হরিণ ধরার জন্য পেতে রাখা একাধিক ফাঁদ দেখতে পান। সন্দেহ হলে তল্লাশি চালিয়ে চার থেকে পাঁচজন শিকারীকে দেখতে পান তারা। এক পর্যায়ে রানা দেব নিজে দৌড়ে গিয়ে একজনকে ধরে ফেললে, বাকি শিকারীরা ফিরে এসে তাকে বেধড়ক মারধর করে ধৃত শিকারীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে বনরক্ষীরা ঘটনাস্থল থেকে ১৮টি হাঁটা ফাঁদ জব্দ করেন।

আহত রানা দেবকে তাৎক্ষণিকভাবে দুবলারচরের অস্থায়ী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হামলার পরপরই বনরক্ষীরা অভিযান চালিয়ে তিন শিকারীকে আটক করেন।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও)মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও শরণখোলা রেঞ্জের অন্যান্য রাস পূজার দায়িত্ব পালনের জন্য দুবলার চরে অবস্থান করায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

দুবলার চরে অবস্থানরত এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহিদুল্লাহ জানান, হরিণ শিকারিদের আক্রমনে একজন বন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোন কিছু জানায়নি। তারা অভিযোগ দিলে এবং আসামীদের হস্তান্তর করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

রাসপূর্ণিমা পূজাকে কেন্দ্র করে সুন্দরবনের দুবলারচরে পূন্যাথীদের ভীড় রয়েছে। তবে এই সুযোগে পূন্যাথী সেজে প্রবেশ করে কিছু অপরাধী হরিণ শিকারের চেস্টা করছেন। এই অপরাধ যাতে করতে না পারে সেজন্য সনাতন ধর্মালম্বী ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তারপরও নানা কৌশলে মুসলিম ধর্মের কেউ কেউ বনে প্রবেশ করেছেন। তবে পূন্যাথীদের নৌকায় যাচাই করে পাওয়া যাওয়া বেশকিছু মুসলিম ধর্মালম্বীদের লোকালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত