শৈলকূপায় মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় এক পরিবার গ্রামছাড়া

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৮

ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার দেবতলা গ্রামে সাজানো মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় রিপন কাজী নামের এক যুবক ও তার পরিবার গ্রামছাড়া হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রিপন কাজী।

লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, ২০২৪ সালের ২৮ জুন দেবতলা গ্রামের রবিউল কাজীর মেয়ে প্রেমিক শিহাবকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস শুরু করে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা বিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেন। কিন্তু শিহাব বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে রিপন কাজী তাকে থাপ্পড় মারেন। এর জেরে রবিউল কাজীর পরিবার প্রতিশোধ নিতে ক্ষুদ্ধ হয়।

অভিযোগে আরো বলা হয়, এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের ৩ মার্চ রবিউল কাজীর ১১ বছরের মেয়েকে দিয়ে রিপন কাজীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা সাজানো হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়। এতে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রিপনের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ সময় রিপন কাজী, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান গ্রাম ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।

সংবাদ সম্মেলনে রিপন কাজী দাবি করেন, মামলাটি তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা অমিত কুমার ঘোষ গত ২৫ জুলাই আদালতে দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টেও ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, বাদী রবিউল কাজী সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি সত্য এবং রিপন প্রভাব খাটিয়ে ডাক্তারি রিপোর্ট নিজের পক্ষে নিয়েছেন। তিনি আদালতের মাধ্যমে ডিএনএ টেস্ট করার দাবি করেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত