খুলনায় নতুন কারাগার চালু, বন্দিদের ফুল দিয়ে বরণ

খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৭
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ০১

খুলনায় চালু হয়েছে নবনির্মিত জেলা কারাগার। পুরাতন কারাগার থেকে ১০০ বন্দি এনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে আধুনিক সুবিধা সমৃদ্ধ কারাগারটি। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পুরাতন কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় প্রিজন ভ্যানে করে কয়েদিদের নতুন কারাগারে আনা হয়। কারা কর্তৃপক্ষ তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- খুলনা বিভাগীয় কারা-উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) মো. মনির আহমেদ, খুলনা কারাগারের জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান, ডেপুটি জেল সুপার আব্দুল্লাহ হেল আল আমিন, জেলার মুহাম্মদ মুনীরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো ১০০ বন্দিকে স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে। নতুন জেল হওয়ায় অনেক চ্যালেঞ্জ থাকতে পারে। দেখা যাক কী কী সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

জানা যায়, নতুন কারাগারের ভিতরে পাকা পথ, পার্কিং টাইলসের ফুটপাত, মসজিদ, হাসপাতাল রয়েছে। বন্দিদের জন্য নির্মিত প্রতিটি ভবনের চারপাশে পৃথক সীমানাপ্রাচীর, যাতে এক শ্রেণির বন্দি অন্য শ্রেণির সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে। মোট ৫৭টি স্থাপনা নির্মিত হয়েছে, যার মধ্যে বন্দিদের থাকার ভবন ১১টি। নিরাপত্তা জোরদারে পুরো কারাগারের ভেতরে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ দেয়াল নির্মিত হয়েছে।

এছাড়া কারাগারের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রয়েছে ফাঁসির মঞ্চ। ছাই রংয়ের টিনের শিট আর চালে ঢেউ টিনে নির্মিত ফাঁসির মঞ্চের ঘরটি। যা কিনা দেশের ‘সবচেয়ে আধুনিক ফাঁসির মঞ্চ’ বলে দাবি কারা কর্তৃপক্ষের।

নতুন কারাগার কমপ্লেক্সটি খুলনা সিটি বাইপাস রোডে ৩০ একর জমির ওপর নির্মিত। ২০১১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১৪৪ কোটি টাকার প্রাথমিক বাজেট এবং ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময়সীমা দিয়ে কারাগারের নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। এরপর একাধিকবার সময়সীমা বাড়ানো এবং দু’বার বাজেট সংশোধনের পর প্রকল্পের খরচ দাঁড়ায় ২৮৮ কোটি টাকায়। কারাগারটি চার হাজার বন্দির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হলেও, বর্তমান অবকাঠামোতে দুই হাজার বন্দি থাকতে পারবে বলে জানা গেছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত