বাবার শখ মেটাতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে

উপজেলা প্রতিনিধি, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৩: ৩০

রূপকথার মতো দৃশ্য। নীল আকাশ চিরে গ্রামে অবতরণ করল একটি হেলিকপ্টার, সেই হেলিকপ্টার থেকে নামলেন লাল শেরওয়ানিতে সজ্জিত এক বর। ঝিনাইদহ মহেশপুর উপজেলার বাশঁবাড়িয়া ইউনিয়নের গাড়াপোতা গ্রামে এমন সজ্জিত বরের আগমন। শুধু পিতার শখ পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যান সৌদি প্রবাসী সাকিব হোসেন (২৭)।

সাকিব হোসেন মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গাড়াপোতা গ্রামের বিল্লাল খানের ছেলে। বাপ-ছেলে দুজনেই সৌদি আরবে কর্মরত। তিন ভাই বোনের মধ্যে সাকিব পরিবারের বড় ছেলে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে তিনি নিজ গ্রাম থেকে আকাশ পথে জীবননগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং মাত্র ৬ মিনিটেই পৌঁছে যান জীবননগর হাইস্কুল মাঠে। সেখান থেকে প্রাইভেট কারযোগে পৌঁছে যান কনের বাড়ি সীমান্ত ইউনিয়ন কয়া গ্রামে। হেলিকপ্টারটি হাইস্কুল মাঠে অবতরণ করতেই মুহূর্তে ভিড় জমে যায় এলাকার মানুষের। মাঠ যেন উৎসবস্থলে পরিণত হয়। শিশু, বৃদ্ধ, নারী সবার হাতে মোবাইল, কেউ ভিডিও করছেন, কেউ সেলফি তুলছেন। কনের বাড়ির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় বরকে।

বর সাকিব বলেন, ছোটবেলা থেকে আমার বাবার স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করব। আল্লাহর রহমতে সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিল। দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে পিতা-পুত্র বসবাস করছেন। সেখানে তাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

কনে আসমা খাতুন(১৯) জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের মেয়ে।

কনের পিতা ইব্রাহিম খলিল বলেন, আমার কন্যার ৫ মাস আগে শাকিবের সাথে বিয়ে হয়। এরপর আমার বেয়াই বিল্লাল খানের স্বপ্ন পূরণের জন্য জামাই হেলিকপ্টারে করে আমার কন্যাকে তুলে নিতে আসলো। এতে আজ আমরা অনেক খুশি।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৪টার সময় কনেকে সঙ্গে নিয়ে আবার হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন সাকিব। তা দেখতে উৎসুক জনতা সেখানেও ভিড় করেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত