১১ বছর পর মন্টু হত্যায় চার আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

উপজেলা প্রতিনিধি, দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা)
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৫

১১ বছর পর চুয়াডাঙ্গার বহুল আলোচিত মন্টু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। এ মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন এখনও পলাতক রয়েছেন। আরেক আসামি বিচার চলাকালীন মারা যান।

বিজ্ঞাপন

সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মোক্তাগীর আলম তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের বারুইপাড়ার মৃত তোয়াক্কেল মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম (৪৭), একই গ্রামের মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে আসান ওরফে তোতা মিয়া (৪৬), ডাক্তারপাড়ার লাল চাঁদ মন্ডলের ছেলে বাবু (৪৬) এবং মল্লিকপাড়ার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে জাহিদ হোসেন (৩৯)।

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৬ মে রাতে জয়রামপুর গ্রামের দোয়ারপাড়ার বাসিন্দা হাজিরা বেগম তার পরিবার নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। রাতের খাবার শেষে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন তার ছেলে মন্টু। এ সময় ৫-৬ জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। মন্টু গোঙানির শব্দ শুনে তার মা দৌড়ে এসে দেখেন তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মন্টুর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন নিহতের মা হাজিরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আজিজুর রহমান একই বছরের ৩০ নভেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মোট ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আসামি তোতা মিয়া বর্তমানে পলাতক। অপর আসামি মফিজ বিশ্বাসের ছেলে আলমগীর হোসেন বিচার চলাকালীন মারা যান।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত