আমার দেশে সংবাদ প্রকাশের জের

যশোর পূজা পরিষদের শীর্ষ ২ নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

যশোর অফিস
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫, ২০: ৩৫

আমার দেশে সংবাদ প্রকাশের জেরে যশোর জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন এবং সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয়কৃষ্ণ মল্লিক বুধবার ওই দু’ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনেন এবং তা মামলা হিসেবে রেকর্ডের আবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন

আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে যশোর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বিনয়কৃষ্ণ মল্লিক দাবি করেন, দীপঙ্কর দাস রতন ও তপন কুমার ঘোষ সংগঠনের নাম ব্যবহার করে ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সার্বভৌমত্ব, সংহতি এবং শৃঙ্খলার প্রতি হুমকিস্বরূপ নানা কার্যকলাপ পরিচালনা করেছেন।

অভিযোগের সপক্ষে যশোর জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পতনের পর প্রকাশিত একটি লিফলেটের কপি এবং দৈনিক আমার দেশে গত ১৫ এপ্রিল প্রকাশিত একটি সংবাদের কাটিং সংযুক্ত করেন।

‘সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে যশোর জেলার সনাতনী জনগোষ্ঠীর উপর সংঘটিত নির্যাতনের আংশিক বিবরণ’ শীর্ষক পূজা পরিষদের ওই লিফলেটে একটি তালিকা প্রকাশ করে বলা হয়, এটি সনাতন জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতনের তালিকা। সেখানে নির্যাতিত হিসেবে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তারা প্রায় সবাই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মী ছিলেন।

বাদী বিনয় কৃষ্ণ মল্লিকের দাবি, পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ নেতা দীপঙ্কর দাস রতন এবং তপন কুমার ঘোষ সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে এই তালিকা প্রচার করেছেন। কিন্তু, এসব ব্যক্তিদের অধিকাংশই কোনো সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হননি। তারা বিগত সরকারের আমলে সাধারণ মানুষের ওপর যেভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছেন সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ওই সরকারে পতনের পর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বাভাবিকভাবে যার শিকার হয়েছেন মুসলিম ধর্মাবলম্বী আওয়ামী লীগ নেতারা। এসবই রাজনৈতিক কারণে সংঘটিত হয়েছে। সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে কোনো নির্যাতন হয়নি। কিন্তু, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ঠেলে দিতে আসামিরা এসব তালিকা প্রচার করেছেন। তারা সমাবেশ ও মিছিল করে ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের গালগল্প প্রচার করে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরিরও অপচেষ্টা চালান।

বাদির আইনজীবী সুদীপ্ত ঘোষ আমার দেশকে জানান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয় আদালত) মো. রহমত আলী আর্জিটি গ্রহণ করে কোতয়ালি থানার ওসিকে তদন্ত করে আগামী ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত