আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

হত্যা মিশনে ছিল ৭ কিলার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেনেড বাবু গ্রুপ জড়িত

খুলনা ব্যুরো

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেনেড বাবু গ্রুপ জড়িত

খুলনা মহানগর ও জেলা দায়রা জজ আদালত চত্বরে প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত জোড়া হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত মো. ইজাজুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৬। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কেএমপির তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।

বিজ্ঞাপন

গত ১৭ ডিসেম্বর খুলনা মহানগরীর পার্শ্ববর্তী রূপসা নদীর অপর পাড়ের আইচগাতি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইজাজুল রূপসা উপজেলার আইচগাতি এলাকার বাসিন্দা ফারুক হোসেনের পুত্র।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে র‌্যাব-৬ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অধিনায়ক লে. কর্নেল নিস্তার আহমেদ।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত ইজাজুল হত্যাকাণ্ডে নিজের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।

র‌্যাব জানায়, গত ৩০ নভেম্বর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আদালতে হাজিরা শেষে বের হওয়ার সময় প্রধান ফটকের সামনে ফজলে রাব্বি রাজন (৩০) ও হাসিব হাওলাদার (৪০)-কে গুলি ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলে মোট সাতজন হামলাকারী অংশ নেয় বলে ইজাজুল স্বীকার করেছে। হামলাকারীরা শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু গ্রুপের অনুসারী এবং নিহতরা পলাশ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসার টাকা ভাগাভাগি ও চাঁদা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে জানায় র‌্যাব।

ঘটনার পরপরই র‌্যাব-৬ এর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও সংগ্রহ করে। ভিডিও ফুটেজে সরাসরি দৃশ্যমান থাকায় ইজাজুলকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না হওয়ায় গত ৩ ডিসেম্বর খুলনা সদর থানার আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। এতে ১৫ থেকে ১৬ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর

খুঁজুন