সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটায় এবার ব্যাপকভাবে কুলের চাষ করা হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ করে সফলতা লাভ করেছেন কৃষক। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ সুস্বাদু এই কুল উপজেলার সবখানেই চাষ করা হয়েছে। বিশেষ করে সরুলিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর, বড়বিলা, সরুলিয়া, কুমিরা এলাকায় মাঠজুড়ে কেবল চোখে পড়ে কুলগাছের সবুজ বনভূমি।
এছাড়া ধানদিয়া, নগরঘাটা, জুজখোলা ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপকভাবে কুল চাষ করা হয়ে থাকে। সরেজমিনে কাশিপুর গ্রামের কুলবাগানে গিয়ে দেখা যায়, কুল গাছগুলোয় তারার মতো ফুটে আছে ফুল। তাতে অল্প অল্প ফল ধরেছে। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবার উপজেলায় কুল চাষ করা হয়েছে ১৫৫ হেক্টর জমিতে, যা গত মৌসুমের চেয়ে বেশি।
কথা হয় কাশিপুর গ্রামের সফল কুলচাষি জামাল উদ্দীনের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রায় ১৫ বছর ধরে কুলের চাষাবাদ করে আসছেন। এবার তিনি ২০ বিঘা জমিতে কুল চাষ করেছেন। তার কুলের বাগানে তিনি পাঁচ জাতের কুল চাষ করেছেন। এগুলো হলো—থাই আপেল, বল সুন্দরী, সাদা টক কুল, খাড়া টক কুল ও টক কমলা কুল। তিনি বলেন, নামে টক হলেও এগুলো টক-মিষ্টি কুল।
কুলচাষি পলাশ সরদার আরো জানান, এই পাঁচ জাতের কুলের মধ্যে থাই আপেল কুলের চাহিদা বেশি। সফল এই কুলচাষি জানালেন, কুল চাষ করতে হলে নিবিড় পরিচর্যা ও একাগ্রতা প্রয়োজন। এবার তিনি ১০ বিঘা জমিতে কুল চাষ করেছেন। কুলের ফলনে তিনি আশাবাদী। প্রতিবারই তিনি কুল চাষ করে লাভবান হন। তবে টক কুলের ফলন এবারও ভালো হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষি ইউনিটের কর্মকর্তা নয়ন হোসেন জানান, এক বিঘা কুল চাষ করতে খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে কৃষকের এক থেকে দেড় লাখ টাকা বিক্রি হয়। অধিকাংশ কুলচাষি বেশ লাভবান হচ্ছেন।
তালা উপজেলার পাটকেলঘাটার সরুলিয়া ইউনিয়নেও কুল চাষ বেশ জনপ্রিয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাজিরা খাতুন জানান, এবার ১৫৫ হেক্টর জমিতে কুল চাষ করা হয়েছে।

