খাবার ও পানিতে চেতনানাশক মিশিয়ে মানুষ অজ্ঞান করে লুটপাট করা আন্তঃবিভাগীয় অজ্ঞান পার্টি চক্রের হোতা আবুল খায়ের বাবু ওরফে স্প্রে বাবু (২৬) গ্রেপ্তার হয়েছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে শ্যামনগর থানা পুলিশের একটি বিশেষ অভিযানে তাকে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের গৌরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছন থেকে আটক করা হয়। একইসঙ্গে তার সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন (২০)কেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার স্প্রে বাবু ভুরুলিয়া ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে এবং জাহাঙ্গীর শ্যামনগর পৌরসভার বাদঘাটার আবুল গাজীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার দুজনের কাছ থেকে চেতনানাশক কেমিক্যাল, সিরিঞ্জ, টর্চলাইট ও মাস্টার কি জব্দ করা হয়েছে, যা দিয়ে তারা টার্গেট করা বাড়ির তালা ভেঙে প্রবেশ করত।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্যামনগর থানায় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল) মো. রাজীব হোসেন জানান, ১৫ ডিসেম্বর আবাদচন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুজ্জামান মন্টুর বাড়িতে খাবার পানিতে চেতনানাশক মিশিয়ে পরিবারকে অচেতন করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে পালিয়ে যায় চক্রটি। ওই ঘটনার সাধারণ ডায়েরির তদন্তে স্প্রে বাবুর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে মামলা রূপান্তরের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে শ্যামনগরসহ বিভিন্ন জেলায় একই কৌশলে অপরাধ করে আসছিল। আগে টার্গেট এলাকায় ঘুরে রেকি (পর্যবেক্ষণ) করে, পরে সুযোগ বুঝে খাবার পানিতে চেতনানাশক মিশিয়ে সবাইকে অজ্ঞান করে লুট করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করত। জিজ্ঞাসাবাদে আরও নতুন তথ্য উদঘাটনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন তিনি এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, স্প্রে বাবুর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ও মাগুরাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, দস্যুতা ও চুরির মোট ১৯টি মামলা রয়েছে। সহযোগী জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধেও শ্যামনগর থানায় ৬টি মামলা আছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে শ্যামনগর থানার ওসি খালেদুর রহমান, এসআই মোহাম্মদ বিপ্লব হোসেন, এসআই সজীব আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

