ঝিকরগাছায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ০৯

চোরাই ভারতীয় মোবাইল ফোন আটক করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে যশোরের ঝিকরগাছা থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজ করা হয়েছে। অভিযুক্ত এই দুই কর্মকর্তা হলেন এসআই রাজু ও এএসআই ওয়ালিদ। তাদের যশোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিট কর্মকর্তা হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ এবং স্থানীয়দের বয়ানে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এরপরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওই দুই কর্মকর্তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেয়।

বিজ্ঞাপন

যশোর-বেনাপোল সড়কের নাভারন পুরোনো বাজারের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে চোরাই মোবাইল ফোন ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এসআই রাজু ও এএসআই ওয়ালিদের বিরুদ্ধে। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে সাদা পোশাকে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় চোরাকারবারিদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগ ছিল।

গত ১৫ আগস্ট শার্শা ও ঝিকরগাছা থানা পুলিশ নাভারনের সাইফুলের দোকানে অভিযান চালিয়ে ৫৩টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। তবে অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি লেন্টু হাজির মধ্যস্থতায় পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকা ও দুটি ফোন হাতিয়ে নিয়ে সাইফুলকে ছেড়ে দেয়। তখন এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন।

গত রোববার দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেলের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ পুনরায় সাইফুলের দোকানে অভিযান চালায়। এ সময় সাইফুলকে আটক করা হয় এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়ি থেকে আরও ৪৪টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে আটক সাইফুলকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি চোরাই ফোন বিক্রির কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এসআই রাজু সংবাদকর্মীদের বলেন, “আমি ঢাকায় অফিশিয়াল কাজে এসেছি। তবে শুনেছি আমাদের দু’জনকেই পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।”

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যাড অপস) আবুল বাশার জানান, তাদের ক্লোজ করার খবর তার কাছে নেই, তবে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত