জাল সনদে চাকুরী, প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার দায়ে ঝিনাইদহে সাবেক এক প্রধান শিক্ষককে সাতবছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন ঝিনাইদহের একটি বিচারিক আদালত।
বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত ব্যক্তির নাম রনি আক্তার। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দূর্গাপুর পুঁটিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় গোয়ালপাড়া অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন-সালেহা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসরিন আক্তার অভিযুক্ত রণি আক্তারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও জাল সনদে চাকুরী করার অভিযোগে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
আদালত সূত্রে জানা-গেছে, আসামী রনি আক্তার গোয়ালপাড়া অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন-সালেহা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদপত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করে বিদ্যালয়ে চাকুরী করে আসছিলেন।
এদিকে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্ত হয়। এমপিওভূক্ত হওয়ার পর আসামী রনি আক্তার তার সরকারী বেতন-ভাতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর তার শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদ পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দাখিল করেন। পরে দাখিলকৃত শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাছাইবাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভুয়া ও জাল বলে প্রমাণ করেন এবং তার সরকারী বেতন-ভাতা বাতিল করে করে দেন।
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত রনি আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সরকার পক্ষে এ্যাড. এএসএম রাকিবুল হাসান ও আসামী পক্ষে এ্যাড. তারিকুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।

