প্রতিনিধি, বাকৃবি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) খালেদা জিয়া হলে আসন বরাদ্দের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিক্ষোভ করেছেন হেলথ কেয়ারে (কৃষিকন্যা হলের বর্ধিতাংশে) থাকা ছাত্রীরা। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আগে ভর্তি হয়েও তারা হলে জায়গা পাচ্ছেন না। অথচ পরে ভর্তি হওয়া নবীন ছাত্রীদের খালেদা জিয়া হলে তোলা হচ্ছে। প্রায় তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে তারা ‘দাবি মোদের একটাই, স্থায়ী হলে আসন চাই’, ‘সিনিয়র হেলথ কেয়ারে, জুনিয়র কেন হলে’— এমন স্লোগান দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাদের হলে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
আন্দোলনকারী সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ১৮০ জন ছাত্রীকে ভর্তি হওয়ার সময় কৃষিকন্যা হলের বর্ধিতাংশে অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য প্রতিষেধক শাখার (হেলথ কেয়ার) তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় অস্থায়ীভাবে রাখা হয়। তখন জানানো হয়েছিল, সেখান থেকে তাদের কৃষিকন্যা হলের মূল ভবনে স্থানান্তর করা হবে।
অন্যদিকে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ৩৫৮ জন ছাত্রীকে খালেদা জিয়া হলে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে নির্মাণকাজ শেষ না থাকায় এতদিন তারা গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (জিটিআই) অতিথিশালায় আছেন। সম্প্রতি হলে একটি ব্লকের কাজ শেষ হওয়ায় তাদের ওই হলে ওঠার নির্দেশ দেয়া হয়েছে আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা আট মাস ধরে হেলথ কেয়ারে আছি। ৪০ জনের একটি গণরুমে মাত্র দুটি বাথরুম। একই বর্ষের হওয়ায় সময়সূচি এক হওয়ায় প্রতিদিনই আমাদের ভোগান্তি হয়।’
আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘জুনিয়রদের হলে তোলা হবে শুনে আমরা ১০ জনের প্রতিনিধি দল গঠন করি। ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করলেও তারা জানিয়েছেন, আমাদের কৃষিকন্যা হলের টিনশেডে রাখা হবে। কিন্তু আমাদের দাবি, জিটিআই’র অতিথিশালায় থাকা জুনিয়রদের হেলথ কেয়ারে এনে আমাদের খালেদা জিয়া হলে তোলা হোক।’
কৃষিকন্যা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড আনিসুজ্জামান বলেন, ৯ অক্টোবর রাতে বিষয়টি জানার পর ১১ অক্টোবর সকালেই ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর হাউজ টিউটরের মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল (১৬ অক্টোবর) ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ১০ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, জানুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থীকে টিনশেড অংশে সিঙ্গেল সিটে এবং মে ২০২৬-এর মধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে মূল ভবনে স্থানান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, হেলথ কেয়ারের শিক্ষার্থীরা এর আগেও মে মাসের এক মিটিংয়ে খালেদা জিয়া হলে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছিল। নির্মাণ ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি যে জানুয়ারির মধ্যে ভবনের তিনতলার কাজ এবং মে মাসের মধ্যে পাঁচতলার কাজ সম্পন্ন হবে।
ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, হেলথ কেয়ারের শিক্ষার্থীরা খালেদা জিয়া হলে যেতে চায়। কিন্তু বর্তমানে জিটিআইতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা যেহেতু তাদের জুনিয়র, তাই তাদের আগে সিট দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়েই শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে। তবে বাস্তবতা হলো, জিটিআইতে যারা আছে, তাদের মূল অ্যালাটমেন্ট খালেদা জিয়া হলেই। শুরুতে হলে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ না থাকায় তারা সাময়িকভাবে জিটিআইতে ছিল। এখন আমরা দ্রুতগতিতে হলটির কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, আপাতত হেলথ কেয়ারের শিক্ষার্থীদের আরও অন্তত দুই মাস সেখানেই থাকতে হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে কৃষিকন্যা হলের চলমান নির্মাণকাজ শেষ হলে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীকে সেখানে স্থানান্তর করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) খালেদা জিয়া হলে আসন বরাদ্দের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিক্ষোভ করেছেন হেলথ কেয়ারে (কৃষিকন্যা হলের বর্ধিতাংশে) থাকা ছাত্রীরা। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আগে ভর্তি হয়েও তারা হলে জায়গা পাচ্ছেন না। অথচ পরে ভর্তি হওয়া নবীন ছাত্রীদের খালেদা জিয়া হলে তোলা হচ্ছে। প্রায় তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে তারা ‘দাবি মোদের একটাই, স্থায়ী হলে আসন চাই’, ‘সিনিয়র হেলথ কেয়ারে, জুনিয়র কেন হলে’— এমন স্লোগান দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাদের হলে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
আন্দোলনকারী সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ১৮০ জন ছাত্রীকে ভর্তি হওয়ার সময় কৃষিকন্যা হলের বর্ধিতাংশে অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য প্রতিষেধক শাখার (হেলথ কেয়ার) তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় অস্থায়ীভাবে রাখা হয়। তখন জানানো হয়েছিল, সেখান থেকে তাদের কৃষিকন্যা হলের মূল ভবনে স্থানান্তর করা হবে।
অন্যদিকে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ৩৫৮ জন ছাত্রীকে খালেদা জিয়া হলে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে নির্মাণকাজ শেষ না থাকায় এতদিন তারা গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (জিটিআই) অতিথিশালায় আছেন। সম্প্রতি হলে একটি ব্লকের কাজ শেষ হওয়ায় তাদের ওই হলে ওঠার নির্দেশ দেয়া হয়েছে আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা আট মাস ধরে হেলথ কেয়ারে আছি। ৪০ জনের একটি গণরুমে মাত্র দুটি বাথরুম। একই বর্ষের হওয়ায় সময়সূচি এক হওয়ায় প্রতিদিনই আমাদের ভোগান্তি হয়।’
আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘জুনিয়রদের হলে তোলা হবে শুনে আমরা ১০ জনের প্রতিনিধি দল গঠন করি। ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করলেও তারা জানিয়েছেন, আমাদের কৃষিকন্যা হলের টিনশেডে রাখা হবে। কিন্তু আমাদের দাবি, জিটিআই’র অতিথিশালায় থাকা জুনিয়রদের হেলথ কেয়ারে এনে আমাদের খালেদা জিয়া হলে তোলা হোক।’
কৃষিকন্যা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড আনিসুজ্জামান বলেন, ৯ অক্টোবর রাতে বিষয়টি জানার পর ১১ অক্টোবর সকালেই ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর হাউজ টিউটরের মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল (১৬ অক্টোবর) ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ১০ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, জানুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থীকে টিনশেড অংশে সিঙ্গেল সিটে এবং মে ২০২৬-এর মধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে মূল ভবনে স্থানান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, হেলথ কেয়ারের শিক্ষার্থীরা এর আগেও মে মাসের এক মিটিংয়ে খালেদা জিয়া হলে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছিল। নির্মাণ ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি যে জানুয়ারির মধ্যে ভবনের তিনতলার কাজ এবং মে মাসের মধ্যে পাঁচতলার কাজ সম্পন্ন হবে।
ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, হেলথ কেয়ারের শিক্ষার্থীরা খালেদা জিয়া হলে যেতে চায়। কিন্তু বর্তমানে জিটিআইতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা যেহেতু তাদের জুনিয়র, তাই তাদের আগে সিট দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়েই শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে। তবে বাস্তবতা হলো, জিটিআইতে যারা আছে, তাদের মূল অ্যালাটমেন্ট খালেদা জিয়া হলেই। শুরুতে হলে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ না থাকায় তারা সাময়িকভাবে জিটিআইতে ছিল। এখন আমরা দ্রুতগতিতে হলটির কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, আপাতত হেলথ কেয়ারের শিক্ষার্থীদের আরও অন্তত দুই মাস সেখানেই থাকতে হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে কৃষিকন্যা হলের চলমান নির্মাণকাজ শেষ হলে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীকে সেখানে স্থানান্তর করা সম্ভব হবে।
বগুড়ার শেরপুরের পল্লীতে মুক্তা খাতুনের (১৯) নামের এক গৃহবধুর লাশ রেখে স্বামীসহ পরিবারের সবাই বাড়ি থেকে উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮টায় উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়নের লাঙ্গলমোড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মুক্তা লাঙ্গল মোড়া গ্রামের বুলু মিয়ার মেয়ে ও ইয়াসিন আলীর স্ত্রী।
৫ মিনিট আগেরাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ৬ হাজার ইয়াবা বড়িসহ তিন নারী মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে ঢাকায় বিক্রির কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তারা।
৮ মিনিট আগেটঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকাবস্থায় হারুন অর রশিদকে গত ১৮ অক্টোবর (শনিবার) গভর্নিং বডির মাসিক সভা ডাকার নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি রহস্যজনক কারণে সভা ডাকেননি। এছাড়াও ১৯ অক্টোবর (রোববার) ফের স্কুলে মিটিং ডাকার জন্য বলা হলে মিটিং ডাকবেন বলে জানান
১৫ মিনিট আগেইলিশ মাছ বিতরণের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা দিয়েছেন ফরিদপুর- ৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা রায়হান জামিল। আগামী ৩০ অক্টোবর ১ টাকা কেজিতে ভাঙ্গা উপজেলার ১০০ অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে তিনি মাংস বিতরণের এ ঘোষণা দিয়েছেন।
২৯ মিনিট আগে