জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় বিনা আক্তার (২২) নামে তৈরি পোশাককর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে বাবার বাড়ি থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ।
এর আগে ১৭ নভেম্বর সোমবার দুপুরে গাজীপুরের বড়বাড়ি এলাকার একটি বাড়া বাসায় রহস্যজনক মৃত্যু হয় বিনা আক্তারের। বিনা আক্তার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের বীরগাঁও এলাকার সুলতান মাহমুদের মেয়ে। বিনা আক্তার তার স্বামী জুয়েল মিয়ার সঙ্গে গাজীপুরে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
বিনা আক্তারের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে বিনা আক্তার ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে জুয়েল মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর জুয়েল মিয়ার সঙ্গে গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দেন বিনা আক্তার। বড়বাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা।
বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে স্বামী জুয়েল মিয়া বিনা আক্তারকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
বিনা আক্তারের পরিবার জানায়, ১৬ নভেম্বর রাতে বিনা ও জুয়েলের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পরদিন ১৭ নভেম্বর দুপুরে আকস্মিকভাবে স্বামীর পক্ষ থেকে বিনা আক্তারের মারা যাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। তবে এ ঘটনার পর থেকে স্বামী জুয়েল মিয়া পলাতক রয়েছেন।
বিনা আক্তারের বাবা সুলতান মাহমুদ জানান, তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। জুয়েল প্রায় সময়ই আমার মেয়েকে মারধর করতো। আমরা ধারণা জুয়েল আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। তারপরও আমরা অনুরোধ করেছিলাম লাশ প্রথমে যেন আমাদের বাড়িতে আনা হয়। কিন্তু গোপনে অন্য রাস্তা ব্যবহার করে রাত ৯টার দিকে লাশ তাদের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং দ্রুত দাফনের প্রস্তুতি নেয়। তখন আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে জুয়েলের বাড়িতে যাই এবং পোস্টমর্টেম ছাড়া লাশ দাফন করতে বাধা দেই। পরে উভয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় লাশ অবশেষে আমাদের বাড়িতে আনা হয়।
বিষয়টি বকশীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করা হলে লাশটি উদ্ধার করা হয়। বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, খবর পাওয়ার পরই মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ভোরে বাবার বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
এ ঘটনায় গাজীপুরের গাছা থানায় যোগাযোগ করা হলে জানায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

