কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিরোধের জেরে দোকানঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষের লোকজন দোকানে থাকা চার বস্তা সুপারি ও একটি টিউবওয়েল নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
শনিবার দুপুরে পৌর সদরের হোসেনপুর সড়কে নিজ দোকানঘরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মো. শামীম আহম্মেদ।
শামীম আহম্মেদ পৌর সদরের বীরপাকুন্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে। অভিযুক্ত হারিছ উদ্দিন একই গ্রামের মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, পৈতৃক জমাজমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের হারিছ উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা-মোকদ্দমা চলমান। পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত আমার আড়াই শতাংশ জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।
বিরোধের জেরে হারিছ উদ্দিন গত শুক্রবার বিকেলে তার লোকজন নিয়ে আমার দোকানঘরটি ভাঙচুর করে। এ সময় হারিছ উদ্দিনের লোকজন দোকানে থাকা চার বস্তা সুপারি ও একটি টিউবওয়েল নিয়ে যায়। দোকানঘর ভাঙচুর ও মালামাল নিয়ে যাওয়ায় আমার প্রায়
চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
অভিযুক্ত হারিছ উদ্দিন বলেন, শামীম আহম্মেদ রাতের আঁধারে জোরপূর্বক আমার কেনা জমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে। পরে সে আদালতে অঙ্গীকারনামা দেয় ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করেনি। আমার জমিতে সে অন্যায়ভাবে স্থাপনা তৈরি করেছিল। এ জন্য আমার অংশীদাররা অবৈধ স্থাপনা ভেঙে জমি উদ্ধার করেছে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিন তদন্ত করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

