শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও চাঁদা দাবি

তিন পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৫, ২২: ৩৯

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও চাঁদা দাবির অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম (১৯) উল্লাপাড়া আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

জাহিদুল উপজেলার কানসোনা গ্রামের বাসিন্দা ও উল্লাপাড়া মার্চেন্ট সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী।

অন্যদিকে অভিযুক্তরা হলেন—উল্লাপাড়া মডেল থানার এসআই আব্দুল হালিম, এসআই মো. মেজবাহ, এএসআই আব্দুস সাত্তার ও উল্লাপাড়া উপজেলার বালশাবাড়ি গ্রামের মো. রুবেল।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলায় প্রধান আসামি রুবেল সঙ্গে জাহিদুলের ফেসবুকে পরিচয় হয়। গত ১০ আগস্ট গভীর রাতে রুবেল ফোন করে তাকে বাড়ির বাইরে আসতে বলেন। সেখানে গেলে জাহিদুল রুবেলের সঙ্গে উল্লাপাড়া মডেল থানার এসআই আব্দুল হালিম, এসআই মেজবাহ এবং এএসআই আব্দুস সাত্তারকে দেখতে পান।

একটি মোটরসাইকেল চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তারা জাহিদুলকে মারধর শুরু করে এবং ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে এসআই হালিম তার ডান কানে থাপ্পড় মারেন। এতে কানের পর্দা ফেটে রক্তক্ষরণ হয় এবং তিনি ডান কানে শোনার ক্ষমতা হারান। এ সময় অন্যরা বুট দিয়ে গলা চেপে ধরে ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেছে বলে মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে,ঘটনার দুই দিন পর এএসআই আব্দুস সাত্তার ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে একজন সাক্ষীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন। বাকি টাকা না দিলে মামলা দিয়ে চাকরি ও জীবন নষ্ট করার হুমকিও দেয় বলে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে জাহিদুল ইসলামের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল হাসান সোহাগ বলেন, উল্লাপাড়া আমলি আদালতের বিচারক ইখলাস উদ্দীন বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা করার পর থেকে বাদী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে আইনজীবী জানান।

উল্লাপাড়া মডেল থানার এসআই আব্দুল হালিম বলেন—অভিযোগটি সত্য নয়। একটি হত্যা মামলার তদন্ত কাজ করছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি মো. রাকিবুল হাসান জানান, ঘটনাটি সত্য নয়। মামলার বাদির বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ আসে। অভিযোগটি তদন্ত করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এই অভিযোগ থেকে বাঁচতেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তদন্ত হলে ঘটনার সত্যতা উদঘাটন হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত