বগুড়ার শাজাহানপুরে পিস্তল উঁচিয়ে জনসম্মুখে হুমকির সময় স্থানীয়দের হাতে আটক বহিষ্কৃত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফেরদৌস করিম সনি বিরুদ্ধে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম। সনি বেজোড়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে।
সরেজমিনে জানা গেছে, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার বেজোড়া দক্ষিণ পাড়া
বেজোড়া যুবসংঘ’ শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন চলছিল। সেখানে কোমর থেকে একটি পিস্তল বের করে আয়োজক কমিটির সদস্য রুবেল হোসনেকে গুলি করবে বলে তেড়ে আসে। এ সময় স্থানীরা সকলে মিলে সনিকে ধরে ফেলে। তার কাছে থাকা পিস্তলটি কেড়ে নেয়। পরে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পিস্তলটি উদ্ধার করেন এবং সনিকে আটক করে নিয়ে যান।
আয়োজক কমিটির সদস্য রুবেল হোসেন জানান, সনি কেলায় দাওয়াত না পাওয়ায় রাত ১১টার দিকে সনি এসে মোটরসাইকেল সাউন্ড বক্সের ওপর তুলে দেন। উপস্থিত লোকজন বাধা দিলে তিনি বাড়িতে গিয়ে পিস্তল এনে আমাকে গুলি করার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় শত শত মানুষ তাকে পিস্তলসহ আটক করে পিটুনি দেয়। সকালে থানায় মামলা করতে গেলে ওসি সাহেব বলেন, মামলা নেয়া যাবেনা। কারণ হিসেবে বলেছেন পিস্তলটি খেলনা।
রুবেল হোসেন আরো বলেন, পিস্তলটি আমি তার হাত থেকে কেড়ে নিয়েছিলাম। পিস্তলটি খুব ভারী ছিল। তবে এক রাতের মধ্যে কিভাবে পিস্তলটি খেলনা হয়ে গেল এটা নিয়ে বিস্মিত আমি।
এদিকে বহিস্কৃত এই নেতাকে থানা থেকে ছাড়াতে শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক হোসন আলীকে ওসির রুমে সকাল থেকে দেখা যায়।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হোসেন আলী বলেন, যেহেতু আমার দলের সাবেক নেতা তাই তার খবর নিতে থানায় এসেছি। স্থানীয়দের ভাষ্য, সনি এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধে জড়িত।
শাজাহানপুর থানার নবাগত ওসি তৌহিদুল ইসলামকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। শাজাহানপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই রোজিনা বলেন, ওসি স্যার জিডি করতে বলেছেন। ওসি স্যারের বাহিরে আর কিছু বলতে পারবো না।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহাদাত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার পুরোপুরি জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

