রাবিতে হল খোলা রাখার দাবিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি

রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৪: ৪৫

পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হল খোলা রাখার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন।

বিজ্ঞাপন

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে ঈদের সময় আবাসিক হল খোলা ছিল। তখন আবাসিক হলে ছাত্রলীগের ভয়ের সংস্কৃতি ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর সেটি নেই। এখন নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে হল বন্ধ রাখা যাবে না। যদি হল খুলে না দেয়া হয়, তবে তারা প্রশাসন ভবনের সামনে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সম্প্রতি প্রাধ্যক্ষ পরিষদ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এবারের ঈদে আবাসিক হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে। ২৮ মার্চ থেকে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত হল বন্ধ থাকবে। ৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় আবাসিক হল খুলে দেয়া হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ১৭টি আবাসিক হল রয়েছে। ২০২২ সাল থেকে ঈদের ছুটিতে আবাসিক হলগুলো খোলা ছিল।

আজ সকালে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন শিক্ষার্থী কাঁথা-বিছানাপত্র বিছিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের সামনে রাখা হয়েছে বালিশ, মশারি, ব্যাগ। কয়েকজন শিক্ষার্থী আবাসিক হল বন্ধ করা যাবে না বিষয়ক প্ল্যাকার্ড নিয়ে বসেছেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া পটুয়াখালীর বাসিন্দা নবাব আবদুল লতিফ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমরান হোসাইন বলেন, রাজশাহী থেকে পটুয়াখালী যেতেই শুধু বাস ভাড়া সাড়ে ৯০০ টাকা। ১০ ঘণ্টার মতো শুধু যেতে সময় লাগে। আর ঈদের পর ৯ মার্চ থেকে তার পরীক্ষা। এখন পড়াশোনার ব্যাপার আছে, পরীক্ষার ব্যাপারও আছে। আবার আর্থিক সমস্যাও আছে। এ অবস্থায় বাড়ি যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

নেত্রকোনার বাসিন্দা শহীদ ড. শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জাহিদুল হাসান বলেন, বাড়ি যেতে শুধু হাজার টাকা খরচ হয়। তার মাঠপর্যায়ের গবেষণাকাজ আছে। ওই প্রতিবেদন ঈদের পর জমা দিতে হবে। এই মুহূর্তে বাড়ি গেলে তিনি তা করতে পারবেন না।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর রাবি শাখার সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, তারা তিন দিন ধরে অবস্থান করছেন, কিন্তু প্রশাসন কোনো কথা শুনছে না। আগের প্রশাসনের সঙ্গে এই প্রশাসনের মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। দাবি না মানা হলে তারা প্রশাসন ভবন আটকে দেবেন। হল বন্ধ করে দিলে তারা প্রশাসন ভবনের সামনেই রাতযাপন করবেন।

প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক বায়তুল মোকাদ্দেছুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর বাইরে আর অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আবাসিক হল বন্ধই থাকবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত