সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নারী ইউপি সদস্য পিয়ারা খাতুনকে (৪৫) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী যুবদল নেতার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের রতনকান্দি গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, পিয়ারা খাতুন শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডের (সংরক্ষিত) মহিলা সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিমের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে স্বামী আব্দুল আলিম পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে পিয়ারা খাতুন আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে যুবদল নেতা আলিমকে বিয়ে করেন। তবে এর পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় আলিম তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ঘরে রেখে পালিয়ে যায়। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের বাবা হানিফ সরকার বলেন, আরেক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আলিম ব্ল্যাকমেইল করে আমার মেয়েকে বিয়ে করে। এরপর চাপ সৃষ্টি করে আমার মেয়ের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ১৭ লাখ টাকা নেয়। বিভিন্ন সময় সে পিয়ারাকে নির্যাতনও করত। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ-বৈঠক হয়। এর জেরেই আলিম আমার মেয়েকে পরিকল্পিত হত্যা করেছে। আমি তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করব।
শাহজাদপুর থানার এসআই মাহমুদুল হাসান বলেন, সকালে হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পিয়ারা খাতুনের লাশ নিজ ঘরে পড়ে আছে বলে আমাদের কাছে খবর আসে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করি।
ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় তার স্বামী। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

