বগুড়ার শাজাহানপুরে রেললাইনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের নোটিশ বিতরণের সময় জনসমক্ষে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার দুই কর্মচারীকে ঘিরে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন- চেইনম্যান মো. তাজুল ইসলাম এবং অফিস সহায়ক সুফল মিয়া।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার জামুন্না হাটখোলা এলাকায় অধিগৃহীত জমির মালিকদের হাতে ৮ ধারার নোটিশ দেওয়া হচ্ছিল। নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ বিতরণ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হলেও অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত দুই কর্মচারী প্রত্যেক ভূমি মালিকের কাছ থেকেই ২০০–৩০০ টাকা করে আদায় করেন। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নোটিশ প্রদানে গড়িমসি ও দুর্ব্যবহার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নোটিশ বুঝিয়ে দেওয়ার নামে প্রকাশ্যেই টাকা নেওয়া হচ্ছিল। স্থানীয় এক ভুক্তভোগী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা জমি দিচ্ছি, তার ওপর নোটিশ নিতে ঘুষ দিতে হচ্ছে। সরকারি চাকুরে হয়ে তারা এভাবে টাকা চাইবে— এটা লজ্জাজনক।
এ সময় ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, অফিস সহায়ক সুফল মিয়া সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ১০০ টাকার নোট পকেটে রাখছেন। তবে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, চা খাওয়ার জন্য ১০–২০ টাকা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে চেইনম্যান তাজুল ইসলাম অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন।
ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি করেছে। এলাকাবাসী বলছেন, এ ধরনের ঘটনা শুধু প্রশাসনের সেবার মানকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে না, বরং সরকারি প্রকল্পে জনবিশ্বাসও নষ্ট করছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, ভিডিওটি এখনও দেখিনি। দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

